মিয়ানমারের সেনারা যোগ দিচ্ছে আরাকান আর্মিতে

Uncategorized আন্তর্জাতিক

সামরিক বিশ্লেষক ঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মিতে যোগ দিয়েছেন দেশটির জান্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্য। তাঁদের মধ্যে সেনা কর্মকর্তারাও রয়েছেন। গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুখা এ তথ্য জানিয়েছেন।

মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মে মাসে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এই সংঘর্ষের আগে ও পরে—দুই সময়েই জান্তা সেনাদের পক্ষত্যাগ করে আরাকান আর্মিতে যোগ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আরাকান আর্মির ওই মুখপাত্র বলেন, নতুনভাবে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর রাখাইনের পাশে চিন রাজ্যের পালেতওয়া এলাকায় অন্তত ১০ জন সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য অস্ত্রসহ পক্ষত্যাগ করেছেন। আর সংঘর্ষের আগে রাখাইনে আরও ৯০ জন জান্তা সেনা আরাকান আর্মিতে যোগ দিয়েছেন। এ তালিকা আরও লম্বা হবে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাস থেকে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার সন্দেহে রাখাইনের বাসিন্দাদের গ্রেপ্তার করছে জান্তা বাহিনী। এ নিয়ে রাজ্যটিতে উত্তেজনা বাড়ছে।

রাখাইন ও পালেতওয়ায় সংঘর্ষ শুরুর পর গত কয়েক সপ্তাহে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে এক অনানুষ্ঠানিক অস্ত্রবিরতির জেরে ১৬ মাস পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত ছিল।

মে মাস থেকে পালেতওয়ায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। তবে গত আগস্ট থেকে এ সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে। তখন থেকে পালেতওয়ার উত্তর–পশ্চিমে মিয়ানমার–ভারত সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় প্রায়ই লড়াই চলছে। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে মিয়ানমার–বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন রাখাইনের মাউংদাও এলাকার উত্তরেও।

মাউংদাও, পালেতওয়াসহ এই অঞ্চলে একাধিক এলাকায় স্থল ও নৌপথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা বাহিনী। এতে করে ওই এলাকার বাসিন্দারা খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের সংকটে ভুগছেন। সেখানে বন্ধ রয়েছে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবাও।

আরাকান আর্মির দাবি, ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তের কাছাকাছি জান্তা বাহিনীর অনেকগুলো ঘাঁটি অবরোধ করে রেখেছে তারা। ঘাঁটিগুলোয় বাড়তি সেনাসদস্য ও রসদ পাঠাতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। ওই ঘাঁটিগুলোর দখল ফিরিয়ে নিতে বিমান ও কামান হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।

মাউংদাওয়ে বর্তমানে ৯ থেকে ১০ হাজারের মতো জান্তা সেনা মোতায়েন রয়েছে বলে ধারণা খাইং থুখার। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা লড়াইয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি। তবে জান্তা বাহিনী তাদের শক্তি বাড়িয়েই চলেছে। আগামী সপ্তাহগুলোতে সংঘর্ষ আরও বাড়তে পারে।’
সুএঃ-( বিএমএ)


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *