!!ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন!! শুক্রবার কর্মকর্তাদের গাড়ির জ্বালানি বন্ধ করে ২৬ লাখের খরচ নামল ৮ লাখে

Uncategorized অন্যান্য

!! ডিএনসিসির পরিবহন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের গাড়ি ও অন্যান্য দাপ্তরিক কাজে হালকা গাড়ির জ্বালানি বাবদ গত জুনে ব্যয় হয়েছিল ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৮ টাকা। জুলাই মাসে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ২৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৪ টাকা। সেখানে গত আগস্টে এই খাতে ব্যয় কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ লাখ ৯১ হাজার ৭৯ টাকায়। জুন মাসের তুলনায় এই ব্যয় ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫৭৯ টাকা এবং জুলাইয়ের তুলনায় ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৫ টাকা কমেছে !!

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ব্যয় কমাতে ছুটির দিন শুক্রবার কর্মকর্তাদের গাড়ি চড়তে জ্বালানি দেওয়া বন্ধ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
ব্যয় কমাতে ছুটির দিন শুক্রবার কর্মকর্তাদের গাড়ি চড়তে জ্বালানি দেওয়া বন্ধ করেছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মকর্তাদের গাড়ি ও অন্য হালকা যানের জ্বালানি বরাদ্দ দেওয়া হবে না। জ্বালানি খরচ কমাতে মেয়র আতিকুল ইসলাম এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গত আগস্ট মাসের শুরুতে। এর ফলে এই মাসে এ খাতে জ্বালানির (ডিজেল ও সিএনজি গ্যাস) ব্যয় আগের দুই মাসের (জুন ও জুলাই) তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে।
ডিএনসিসির পরিবহন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের গাড়ি ও অন্যান্য দাপ্তরিক কাজে হালকা গাড়ির জ্বালানি বাবদ গত জুনে ব্যয় হয়েছিল ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৮ টাকা। জুলাই মাসে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ২৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৪ টাকা। সেখানে গত আগস্টে এই খাতে ব্যয় কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ লাখ ৯১ হাজার ৭৯ টাকায়। জুন মাসের তুলনায় এই ব্যয় ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫৭৯ টাকা এবং জুলাইয়ের তুলনায় ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৫ টাকা কমেছে।
বৈশ্বিক জ্বালানি–সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ে এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতে কর্মকর্তাদের জন্য শুক্রবার জ্বালানি বরাদ্দ বন্ধ রাখতে গত আগস্টে একটি অফিস আদেশ জারি করেছিল ডিএনসিসির পরিবহন বিভাগ। সিটি করপোরেশনের অত্যাবশ্যকীয় জরুরি সেবা-সরবরাহ, বর্জ্য পরিবহন ও মশক নিধন কাজে নিয়োজিত যানবাহনগুলো এই আদেশের আওতামুক্ত রাখা হয়েছিল।
ডিএনসিসি সূত্র বলছে, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বেশির ভাগ গাড়ি চলাচল করে না। তবে যেসব কর্মকর্তার গাড়ি আছে, তাঁরা ছুটির দিনে ব্যক্তিগত নানা কারণে গাড়ি নিয়ে বের হন। এ জন্য করপোরেশন থেকে জ্বালানি বরাদ্দ নেন তাঁরা। এই বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়াতেই ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অফিস আদেশের পরেও অনেক কর্মকর্তা শুক্রবারে গাড়ি ব্যবহার করেছেন। সে ক্ষেত্রে ওই দিনের জ্বালানির খরচ নিজেকেই বহন করতে হয়েছে।
অপর দিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান কার্যালয়সহ সব আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্দেশে গত মাসে আরেকটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছিল। এতে উল্লেখ করা হয়, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নিচে রাখা যাবে না। কক্ষে অবস্থানের সময় সম্ভব হলে এক ঘণ্টা এসি চালু রেখে পরের এক ঘণ্টা তা বন্ধ রাখতেও বলা হয় ওই আদেশে। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক বাতি অর্ধেক জ্বালাতে এবং অফিসকক্ষে অবস্থান না করলে এসি, বৈদ্যুতিক বাতি ও পাখার সংযোগ বন্ধ রাখতে বলা হয়।
জ্বালানি সাশ্রয়ে এমন আদেশের ফল ও পেয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় গুলশানের নগর ভবনের বিদ্যুৎ বিল অনুযায়ী জুন মাসের ব্যয়ের চেয়ে জুলাই মাসে ১ লাখ ৪১ হাজার ৫০৩ টাকা কম খরচ হয়েছে। আগস্ট মাসে কম হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ১৩ টাকা। জুনের বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৭ লাখ ৯ হাজার ৫০৭ টাকা। জুলাইয়ে হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪ টাকা আর আগস্টে হয়েছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৯ টাকা।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা গণমাধ্যমে বলেন, ‘ব্যয় কমাতে মেয়র যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটি পালন করতে গিয়ে দেখেছি, আমাদের ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যয় পরিহার করেও কাজ ধরে রাখা যাচ্ছে। কিছু চ্যালেঞ্জ এলেও আমরা ব্যয় সাশ্রয়ে সফল হয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, আর কোন কোন ক্ষেত্রে এই ব্যয় কমিয়ে আনা যায়, সেগুলো নিয়ে ভেবে দেখা হচ্ছে। ব্যয় কমানোর পাশাপাশি সেবা স্বাভাবিক রাখার বিষয়গুলোও মাথায় রাখা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *