এলিট ফোর্স সিকিউরিটি কোম্পানীর চাকুরীর আড়ালে এলিট শ্রেণীর মাদকের জমজমাট বানিজ্য

Uncategorized আইন ও আদালত


!! রাজধানীর উত্তরা থেকে ৯৬৮০ পিস ইয়াবা ও ৩ গ্রাম আইস সহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার !!



নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে।

মাদকদ্রব্য উদ্ধর ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার সহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক, মোঃ মেহেদী হাসান এর তত্তাবধানে এবং রমনা সার্কেলের পরিদর্শক তমিজ উদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম রাজধানীর উত্তরার ৭ নং সেক্টরের রবীন্দ্র স্মরণী এলাকায় শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে ৩ জন মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার হয়েছে, গ্রেফতার কৃত আসামিদের নাম ঠিকানা এ পেশাগত বৃত্তান্ত যথাক্রমে উল্লেখ করা হলো, মোঃ ইসমাইল (৩২), জেলা: কক্সবাজার, পেশা: “এলিট ফোর্স” নামক কোম্পানীতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করতেন। মোঃ জাকারিয়া মাসুদ বাপ্পি (২৬), জেলা : সাতক্ষীরা, পেশা: কাপড়ের ব্যবসা এবং
রবিউল হাসান মামুন (২০), জেলা: কক্সবাজার, পেশা, “এলিট ফোর্স” নামক কোম্পানীতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করতেন।

উল্লেখিত ৩ (তিন) জন ব্যক্তি’কে ৯৬৮০ (নয় হাজার ছয়শত আশি) পিস ইয়াবা এবং ৩ (তিন) গ্রাম আইস সহ গ্রেফতার করা হয়।

ব্যবসার কৌশল সম্পর্কে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীগণ টেকনাফ, ঢাকার উত্তরা ও গাজীপুর কেন্দ্রীক একটি সক্রিয় মাদক চক্রের সদস্য। প্রাথমিক আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে ঢাকা ও গাজীপুরের মাদক ব্যবসায়ীদের পাইকারী দরে সরবরাহ করত।
এলিট ফোর্স নামক সিকিউরিটি কোম্পানীতে গার্ডের চাকুরির সুবাদে তাদের কেউ সন্দেহ করতো না মর্মে জানায়।

এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের ব্যবহার এই সিন্ডিকেটের সবাই গোপনীয়তার স্বার্থে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপস ব্যবহার করে।

তারা কোন নির্দিষ্ট ফোন নম্বর ব্যবহার না করে ক্রমাগত নম্বর পরিবর্তন করে। এনক্রিপ্টেড অ্যাপসসমূহ বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধান পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে ‘ জিরো টলারেন্স ’ নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *