মামুন মোল্লা (খুলনা) ঃ গত ২৮ আগস্ট বাদী আদুরী আক্তার (২২), পিতা-মৃত: মান্নান হাওলাদার, সাং-হোল্ডিং নং-৩৫, মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ী, থানা-দৌলতপুর, জেলা-খুলনা থানায় আসিয়া অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন যে, গত ২৭ আগস্ট রাত্র আনুমানিক ১০ টা ৪৫ মিনিটের সময় বাদীর মা রহিমা বেগম (৫০) তাদের বাসার নিচে টিউবওয়েল থেকে খাবার পানি আনতে গিয়ে রাত্র আনুমানিক ১১ টা ১৫ মিনিটের সময় তাদের নিজ বাড়ী থেকে অপহরণ হয়েছে।
এ সংক্রান্তে মামলা রুজু হওয়ার পর ভিকটিম উদ্ধারের জন্য জোর চেষ্টা করা হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের আদেশক্রমে মামলাটি পিবিআই, খুলনার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
গত শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ ফুলপুরে এক নারীর বিকৃত লাশ পাওয়া গেলে ভিকটিম রহিমা বেগমের মেয়ে বাদীর বড় বোন মরিয়ম মান্নান উক্ত নারীর বিকৃত লাশের পোষাক দেখে তার মায়ের লাশ বলে দাবী করে। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়।
গত শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর রাত্র ১১ টা ১৫ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ আবদুর রহমান ও দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম, খুলনাদ্বয়ের নেতৃত্বে দৌলতপুর থানার একটি চৌকস অভিযানিক দল ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানার সৈয়দপুর এলাকা থেকে জনৈক কুদ্দুছ মোল্লার বাড়ী থেকে ভিকটিম রহিমা বেগম (৫০), স্বামী-বিল্লাল হাওলাদার, সাং-হোল্ডিং নং-৩৫, মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ী, থানা-দৌলতপুর, জেলা-খুলনা’কে উদ্ধার করেন।
দৌলতপুর থানার চৌকস অভিযানিক দল ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানার সৈয়দপুর হইতে দৌলতপুর থানায় নিয়ে এসে নারী ও শিশু ডেক্স কক্ষে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন উদ্ধারকৃত ভিকটিম রহিমা বেগম(৫০) উদ্ধার সংক্রান্তে গণমাধ্যমের সামনে প্রেস ব্রিফিং করেন।
প্রেস ব্রিফিং শেষে উদ্ধারকৃত ভিকটিম রহিমা বেগম (৫০) কে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক (নিঃ) মোঃ আব্দুল মান্নান পিবিআই, খুলনার মতামত নিয়ে ভিকটিম কে কেএমপি’র খুলনা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
অত্র মামলাটি পিবিআই, খুলনা জেলার নিকট তদন্তাধীন থাকায় ভিকটিম রহিমা বেগম (৫০) কে পিবিআই, খুলনার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
