মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলার বাশগ্রাম ইউনিয়নের আগ্রাহাটি গ্রামে একটি মাছের ঘেরে বিশ প্রয়োগ করে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ছোট বড় সাদা ও চিংড়ি মাছসহ সকল প্রকার দেশি মাছও মেরে ফেলার অভিযোগ। (২৭ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের মঙ্গলহাটা গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর খান (৫৬) পিতা মৃত আকবার হোসেন খান গত তিন বছর আগে বাশগ্রাম আগ্রা হাটি গ্রামে ৪০ একর জমি লিজ নিয়ে ৪টি ঘের,খান ফিসারিস নামে মৎস খামার গোড়ে তোলেন। এবং গত তিন বছর যাবত কয় একটি ভাগে ভাগ করে সাদা মাছসহ চিংড়ি মাছের চাষ করে আসছিলেন। এমত অবস্থায় প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল সন্ধ্যায় ঘেরের কেয়ার ট্রেকার মাসুদ মোড়লকে নিয়ে জাহাঙ্গীর মাছের খাবার দিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। এভাবে সারারাত পেরিয়ে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল দশটার দিকে কেয়ার ট্রেকার মাসুদকে নিয়ে ঘেরে গিয়ে দেখতে পায় সকল মাছ মরে পানির উপর ভেষে উঠেছে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার সাদা ও চিংড়ি মাছ। এসময় ঘের মালিক জাহাঙ্গীর চিৎকার করে কান্না করতে থাকে। পরে তার কান্নার শব্দ শুনতে পেরে আসেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে সান্তনা দিতে থাকেন। এসংবাদ শুনে নড়াইল থেকে ছুটে যান বেশকিছু সাংবাদিক। এসময় ঘের মালিক জাহাঙ্গীরের কাছে মাছ মেরে ফেলার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,আমি এখানে মাছের ঘের লিজ নিতে আসলে স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেকেই আমাকে ঘের চাষ না করতে বিভিন্ন ফতোয়া দিয়ে নিষেধ করে।
তবে আমি কোন কথার তোয়াক্কা না করে ঘেরটি লিজ নেই। এর কিছুদিন পর থেকে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হেরাজ করতে আমার বোরিং থেকে পাইপসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হতে থাকে। এবিষয়ে আমি আমার ছেলে মিজান ও রিপনকে জানিয়ে দেই। তারা আমাকে শান্ত হতে বলে এবং আল্লাহর কাছে বিচার দিতে বলে।
ঘেরের কেয়ার ট্রেকার মাছুদ মোড়ল পিতা মুক্তার মোড়ল সাং মাছিয়াড়া থানা তালা জেলা সাতক্ষী’রা সাংবাদিকদের জানান,আমি ও আমার ঘের মালিক গতকাল সন্ধ্যায় মাছের খাবার দিয়ে অফিস কক্ষে এসে ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন অর্থাৎ আজ সকালে ঘেরে মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখি এই ঘেরটার সকল সাদা মাছ ও চিংড়ি মাছ মরে ভেষে রয়েছে। তবে আমি কাউকে মাছ মেরে ফেলতে দেখিনি। ঘের মালিকের ছেলে আনিস খান জানান,আমরা কাউকে মাছ মেরে ফেলতে দেখিনি,তবে আমরা ঘের করার আগে যারা বিভিন্ন ফতোয়া দিয়ে ঘের করতে নিষেধ করেছিল তারা হয়তো এটা সাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেনি তাই তারাই হয়তো এরকম জঘন্য অপরাধ করে আমাদের এখান থেকে বিতাড়িত করতে চাইছে। এবিষয়ে থানা পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ করছেন কিনা জানতে চাইলে রিপন খান জানান,আমরা বড়ো ভাইয়ের অপেক্ষায় রয়েছি,তিনি আসলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2022/09/Picsart_22-09-28_10-23-14-687.jpg)