নড়াইলে ৮বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মিহির বিশ্বাস জেল হাজতে,মোটা টাকায় রফাদফার অভিযোগ

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলার ৪নং সাহাবাদ ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের প্রিয়া নামে এক নাবালিকা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একই নয়নপুর গ্রামের মৃত- হাজারিলাল বিশ্বাসের ছেলে মিহির বিশ্বাস (৫০) কে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পেরণ করেন। ধর্ষণ চেষ্টার শিকার শিশু কন্যা প্রিয়া (৮) নয়নপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেনের নাতনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মিহির বিশ্বাস আমার ছোট্ট নাতনির সাথে যে অনৈতিক কর্মকান্ড ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়েছে আমি এর সুষ্ট বিচার চাই,তিনি আরও বলেন,আমি এই খবর শুনে গত শুক্রবার (৭ই অক্টোবর) রাতে আমার গ্রামবাসিদের সাথে নিয়ে মিহিরের বাড়িতে গেলে গ্রামবাসির সামনে মিহির সত্যতা শিকার করে এবং আমার পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চায়লে আমি বাড়িতে চলে আসি। পরের দিন ভোর ৫টার সময় মিহির আমার বাড়িতে আবারও এসে পায়ে ধরে বলে কাকা তুমি ছাড়া আমাকে কেউ বাচাতে পারবে না,তুমি আমাকে বাচাও বলে ক্ষমা চাই। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,গত ৭ই অক্টোবর অনুমান রাত নয়টার দিকে এ ধর্ষন চেষ্টার ঘটনা ঘটে। শিশু প্রিয়ার কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে অবুঝ প্রিয়া সাংবাদিকদের বলে,আমি রাতে মিহিরের দোকানে গিয়েছিলাম,মিহির আমাকে বলে তুই আমাদের বাড়িতে যা তখোন আমি মিহিরের বাড়িতে গেলে কিছু সময় পরে মিহিরের স্ত্রী বাড়ি থেকে দোকানে চোলে যায় তার একটু পরে মিহির ঘরে এসে আমার সাথে খারাপ কাজ করার জন্য আমাকে বলে তুই তাড়াতাড়ি তোর প্যান্ট খোল,আমি প্যান্ট না খুল্লে মিহির যোঁর করে আমার প্যান্ট খোলে এসময় সুভাষ নামে একজন দেখে ফ্যালায় আমাকে ছেড়ে দেই। এবিষয়ে সুভাষ সাংবাদিকদের বলেন,আমি মা-বাবা মরা মেয়েটিকে মিহিরের দোকানে দেখে বলছি তুই এত রাতে এই দোকানে কেন তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যা। তার বেশ কিছু সময় পরে আমি মিহিরের ঘরের জানালা দিয়ে ওদের দুজনকে দেখতে পাই,এ বিষয়ে কিছু বলতে গেলে মিহিরের স্ত্রী দেখা গেলো আমাদের নামে মামলা বা তার নিজের সরিরের কাপড় খুলে আমাদের নামে মামলা করলো ওই মহিলা এমনি,মহিলার জন্য মিহির এসব করতে সাহস পাই বলেও জানান। এদিকে নয়নপুর গ্রামের মৃত-নারদ বিশ্বাসের ছেলে প্রদূৎ বিশ্বাস বলেন,মিহির বিশ্বাস একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক সে এই ছোট্ট নাবালিকা শিশুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালিয়েছে,সে এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই। নয়নপুর গ্রামের ইউপি মেম্বার জালাল আহম্মেদ বলেন,আমি এই ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা শুনেছি তদন্ত পূর্বক মিহির দোষী হলে আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই। গ্রামের স্থানীয়’রা জানান,মিহির একজন ভদ্রবেসি সয়তান এর আগেও গ্রামে এ ধরনের অপকর্ম করেছিলো আমরা গ্রামবাসি মিহিরের বাড়িতে এমন অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে মিহিরের স্ত্রী আমাদের অকার্থ ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাদের নামে ধর্ষণ মামলা দেয়ার হুমকি দেয় এবং নড়াইলের উকিল দাদাকে ফোন দিয়ে পুলিশ পাঠাতে বলবো এবং নিজের সরিরে কাপড় ছিড়ে পুলিশ কে দেখিয়ে আমাদের নামে মামলা করার হুমকি ধামকি দেয়। মিহিরের অপকর্মের বিচার যদি সেই সময় হতো তাহলে এ অবুঝ শিশুর সাথে মিহির এমন কর্মকান্ড সাহস পেত না বলেও জানান। অভিযুক্ত মিহির বিশ্বাসের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন,প্রিয়া ছোট্ট মেয়ে,সে বিভিন্ন সময়ে আমার দোকানে আসে,আমাকে দোকানের কাজে সহযোগিতা করে আমিও তাকে আমার মেয়ের মত দেখি,কিছু কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছে,তাহলে কেন বীর মুক্তিযোদ্ধার পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছেন জবাবে মিহির জানায় আমি ইজ্জত সন্মানের ভয়ে কাকার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এসময় মিহিরের স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের কথার জালে শিকার করেন,মেয়েটিকে মিহির ঘরে গিয়ে ঘুমাতে বলে এবং কিছু সময় পরে খাবার নিয়ে মিহির ঘরে প্রবেশ করে এসময় মিহিরের স্ত্রী তাদের নিজেদের মোদি দোকানে থাকেন বলে শিকার করেন এবং আরো বলেন,আমার স্বামী এমন ধরনের লোক না,আমার স্বামীকে আমি চিনি। যারা আমার স্বামীর সম্পর্কে মিথ্যা বলছে তারাই আমার সাথে সম্পর্ক করার জন্য চেষ্টা করছে কিন্তু আমি রাজি হয়নি বলে আমাদের পিছনে লেগেছে বলেও জানান। সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার শেষে মিহিরকে তার দোকান থেকে সাহাবাদ বিট পুলিশ অফিসার থানায় নিয়ে যান। পরে যানা যায় বীর মুক্তিযোদ্ধার কেউ না থাকায় স্থানীয় লোকজনের কথা বার্তায় টাকার বিনিময়ে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা মিমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন,মেয়েটির নানা বাদি হয়ে মিহিরের নামে মামলা দায়ের করেছে মিহির কে আটক করে জেল হাজতে পেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *