মামুন মোল্লা (খুলনা) রবিবার ১৬ অক্টোবর, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন শ্রমিকের সন্তান যেন শ্রমিক না হয় তারা যেন শিক্ষিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ভালোভাবে অবদান রাখতে পারে সেজন্য শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি রবিবার সন্ধ্যায় রুপসা এলাকায় শ্রম অধিদপ্তর আয়োজিত শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে খুলনা মহানগরীর এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা সহায়তা এবং তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় সহাতার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার দৃঢ়পতিজ্ঞ। শিল্প নগরী খুলনার শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে। উৎপাদন বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়ত্ব ২৫টি পাটকল যেকোনো পন্থায় শীঘ্রই চালু করা সম্ভব হবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।। অবসায়নকৃত সকল শ্রমিক আবার কাজ পাবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করে বাঙালিরা ঠকেনি, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে শ্রমিকরাও ঠকবে না।
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির নিট লাভের শতকরা পাঁচ ভাগের এক দশমাংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা প্রদানের বিধান রয়েছে। এ পর্যন্ত দেশি বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে দুই’শ ৯৩ টি কোম্পানি এ তহবিলে নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান করছে।
এ তহবিলে আজ পর্যন্ত জমার পরিমাণ ৭’শ ৬০ কোটি টাকার বেশি। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয় বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক ডা. নবীন কুমার হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৪৮ জন শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।