নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ নির্বাচনের সময় গোপন কক্ষে ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা না থাকলেও এ কক্ষে ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
মন্ত্রী বলেন, গোপন কক্ষ গোপন কক্ষই। সেখানে মানুষ গোপনে ভোট দেবে, কিন্তু সেখানে যদি ক্যামেরা লাগানো হয়, তা হলে তো সেটি গোপন থাকে না। এটি সাধারণ মানুষ ও আইনজ্ঞদের অভিমত।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি এটি দেখে ও অন্যদের দেখায়, তা হলে সেটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। সিসি ক্যামেরা লাগানো যেতে পারে, কিন্তু গোপন কক্ষে সিসিটিভি নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এতে ভোটারের ভোটার হিসেবে অধিকার লঙ্ঘন হয় বলে আইনজ্ঞরা বলছেন। আমি বলছি না; আইনজ্ঞরা বলছেন। এটি সবার অভিমত। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে, তবে কে কোথায় ভোট দিচ্ছে সেটি দেখলে কি গোপন থাকল?’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন কয়েকটি নির্বাচন ঢাকায় স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেছে, তবে ক্যামেরা ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হলেও গোপন কক্ষে তা বসানো হয়নি।
সবশেষ গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনও নির্বাচন ভবনে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ১২ অক্টোবর ওই নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই গোপন কক্ষে অবৈধ ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ও কারচুপি দেখতে পেয়ে একে একে ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করেন নির্বাচন কমিশনাররা। পরে পুরো উপনির্বাচনের ভোটই বন্ধ করে দেওয়া হয়।