সুমন হোসেন (যশোর) ঃ প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে জনস্রোত নেমেছিল গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসেছিলেন যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে। যেখানে আজ থেকে ৫০ বছর পূর্বে ঐতিহাসিক ভাষন দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যোগ্য পিতার যোগ্য উত্তরসূরী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাষনের মাধ্যমে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আরেকবার বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতি দেখতে পেলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার মাঝে।
বাধ ভাঙা জোয়ারের মতো আসতে লাগলো জনমানুষের ঢল। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় জনসভা। তার আগেই মাঠ ভরে যায় জনসমুদ্রে। পুরো শহরে লোকে লোকারণ্য। উৎসবের আমেজে শহরের প্রতিটি প্রান্তে ভরপুর।
আওয়ামী লীগের গতকাল এই বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহাসিক এই ভেন্যুসহ পুরো শহরকেই সমাবেশস্থলে পরিণত করতে গত সাত দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, এই জনসভায় স্মরণকালের জনসমাগম ঘটেছে।
শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ-উদ্দীপনা এখন যশোরজুড়ে।
২০১৭ সালের পর যশোরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসভায় ভাষণ দেন শেখ হাসিনা।
তার কথা শুনতে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলো যশোরবাসী।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ৫০ বছর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যশোরের যে স্থানে জনসমুদ্রে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানেই ভাষণ দেন তার কন্যা শেখ হাসিনা।
করোনাকালের তিন বছর পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় প্রথমবারের মতো সশরীরে অংশ নেন তিনি। এই সমাবেশ থেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাজনৈতিক বার্তা দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
অন্যান্য নির্বাচনের আগে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে শুরু হতো প্রচারণা, কিন্তু এবার যশোর থেকে সূচনা হচ্ছে নির্বাচনি তৎপরতা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেখানে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই স্থানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেন। এই জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছি।
সাত দিন ধরে এই কর্মযজ্ঞ চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে যশোরসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। জনসভা ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে জনস্রোত নেমেছে।’
যশোর শহর ও জনসভাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে সর্বত্র উৎসবের আমেজ। নতুন রূপে সাজানো হয়েছে পুরো শহর, সংস্কার হচ্ছে রাস্তা-ঘাট।
বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, দেয়াল লিখন, আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণসহ ব্যাপক সাজসজ্জার করা হয়েছে। চলেছে মাইকিংসহ প্রচার-প্রচারণাও। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ হয়ে আছেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, ‘জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের মাঠ প্রশস্ত করার পাশাপাশি সমাবেশে আগত লোকজনের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বড় পর্দায় সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাঁচ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে।’
