গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২ রাউন্ডে আর্জেন্টিনা, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

Uncategorized খেলাধুলা




ক্রিড়া প্রতিবেদক ঃ আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটা ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধে লিওনেল মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে আলবিসেলেস্তেদের বড় একটা ভয়ই দেখিয়েছিলেন পোল্যান্ড গোলরক্ষক। তবে আর্জেন্টিনা সে ভয়, সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডের পারফর্ম্যান্সে। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার আর ইউলিয়ান অ্যালভারেজের দারুণ দুটো গোলে জয় তুলে নিয়েছে ২-০ গোলে। তাতে গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলল আকাশি-সাদারা।

ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করার মতো চারটি সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে লিওনেল মেসি ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পান। হেড থেকে গোল করার চেষ্টা করলে গোলরক্ষকের গ্লাভস চোখে লাগে লিও’র।

ভিএআর চেক করে দেওয়া হয় পেনাল্টি। তবে বিতর্কিত ওই পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি। গোলশূন্য হতাশার সমতায় প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় আর্জেন্টিনার।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিড নেয় আকাশি-সাদা জার্সির দলটি। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে গোল করেন মিডফিল্ডার মার্ক এলিস্টার। তাকে দারুণ এক বল বানিয়ে দেন ফুলব্যাক নাহুয়েল মলিনা। এরপর ম্যাচের ৬৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় হার দিয়ে আসর শুরু করা দলটি। গোল করেন লওতারো মার্টিনেজের বদলে শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া তরুণ স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজ। তার গোলের কারিগর ১৮ বছর বয়সী তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ। মেক্সিকোর বিপক্ষে দুর্দান্ত গোল করা এনজোও এই ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন।

দুই গোলের জয়কে ঠিক উড়িয়ে দেওয়া বলা যায় কিনা প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু আর্জেন্টিনা কর্তৃত্ব করে জিতেছে। পাত্তাই পায়নি রবার্ট লেভানডভস্কির দল। পেনাল্টি বাদে অন্তত আরও তিনটি গোল পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না। সব মিলিয়ে ম্যাচে গোল পোস্টেই কেবল ১২টি শন নিয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল।

লক্ষভ্রষ্ট সাতটি আক্রমণের কথা তো বাদই থাকলো। বিপরীতে লেভারা গোলে একটি শটও নিতে পারেনি। তবে হতাশার হারের পরও মেক্সিকোর সমান পয়েন্ট নিয়ে পোল্যান্ড গোল ব্যবধানে শেষ ষোলোয় চলে গেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে তারা খেলবে ফ্রান্সের বিপক্ষে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *