র‌্যাব কর্মকর্তার মানবিকতায় পরীক্ষা দিতে পারলো মেয়েটি

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন

আজকের দেশ ডেস্ক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষায় এক ভর্তিচ্ছুকে পরীক্ষা দিতে দেয়ার সুযোগ করে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন র‍্যাব কর্মকর্তা শামীম আনোয়ার। তিনি ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেছেন।


বিজ্ঞাপন

আনোয়ারের এমন উদ্যোগ, এমন সামাজিক কাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ প্রশংসা পাচ্ছে। নেটিজেনরা তার স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়ে এমন কাজের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন। শামীম আনোয়ারের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল-

‘নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তার ভর্তি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সত্তর হাজার আগন্তুকের ভারে ভারাক্রান্ত ছোট্ট বিভাগীয় শহরটির রাস্তাভর্তি জ্যাম। এদিকে ঘড়ির কাটা জানান দিচ্ছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্রে প্রবেশের সময় বাকি আর মাত্র ১০ মিনিট।

যে গাড়িতেই চড়ুন, এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছার চেষ্টা করা অসম্ভবের পেছনে ছোটারই নামান্তর। বাবার মনে হয়ত বিষাদমাখা শঙ্কার কালো মেঘ, এতদূর থেকে এসেও শেষপর্যন্ত মেয়েটির আর ভর্তিপরীক্ষায় অংশ নেওয়া হল না!

‘স্যার, তাড়াতাড়ি উঠাই, না হলে আমরা টাইম কাভার করতে পারব না’ আমার বডিগার্ড হাসান এই কয়দিনেই সম্ভবত আমার ভাবনার জগতের নাড়িনক্ষত্রের খোঁজ পেয়ে গেছে। আমি কি চিন্তা করছি- মুখ খুলে বলার আগেই সে কিভাবে কিভাবে যেন সব বুঝে যায়। নেমে ইশারা দিতেই বাবা-মেয়ে গাড়ির পেছনে উঠে বসল।

ড্রাইভারকে ইমার্জেন্সি সাইরেন বাজিয়ে দিতে বলে প্রায় লাফিয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম আমিও। র‍্যাবের সাইরেন আর ড্রাইভার ইউসুফের প্রাণান্তকর চেষ্টায় যখন কেন্দ্রে পৌঁছেছি, গেট বন্ধের ঘণ্টা পড়তে তখন আর বাকি মাত্র আধা মিনিটেরও কম। গাড়ি থেকে নেমেই গেটের দিকে দৌড়াতে দৌড়াতেই বাবা একবার পেছন ফিরে আমার দিকে তাকিয়েছিলেন।

কে জানে, ধন্যবাদ দেওয়ার জন্যই কিনা! আমি তাকে কোন কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে পাল্টা ইশারায় দ্রুত গেটের দিকে যাওয়ার তাগাদা দিলাম। হাতে সময় যে খুবই কম!’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *