নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
জানা গেছে, অপহৃত ভিকটিম ১৫ বছর বয়সের এবং ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। ভিকটিম তার মা বাবার সাথে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি এলাকায় একটি বাসায় বসবাস করত। আসামী মোঃ শাকিল মিয়া (২২) বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করত এবং আপত্তিজনক কথাবার্তা বলত ও প্রেমের প্রস্তাব দিত। ভিকটিম বিষয়টি তার মা বাবাকে অবহিত করে। ভিকটিমের বাবা তার মেয়েকে বিরক্ত না করার জন্য বিষয়টি শাকিলের বাবাকে অবহিত করে। এতে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে।
গত ২৮ মে, বিকাল অনুমান সাড়ে ৫ টায় ভিকটিম কোচিং শেষে বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী শাকিল অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহযোগিতায় তাকে জোর পূর্বক একটি সিএনজি গাড়ীতে করে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৫, তারিখ ৩ জুন ২০২২, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৩০।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত অপহরণ চক্রের মূলহোতা মোঃ শাকিল মিয়া (২২) ভিকটিমকে অপহরণ করে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন কর্ণফুলী ইপিজেড এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার ২৬ ডিসেম্বর, আনুমানিক ৩ টা ১৫ মিনিটের সময় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং উক্ত অপহরণ চক্রের মূলহোতা আসামী মোঃ শাকিল মিয়া (২২), পিতা-মোঃ মজিদুল মিয়া, সাং-রাজস, থানা-গোবিন্দগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা’কে আটক করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামী উল্লেখিত অপহরণে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
