নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গতকাল বিকেলে ২০০ মিটার লম্বা এবং ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ নোঙর করেছে বন্দরের নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালের এক নম্বর বার্থে। বড় জাহাজ বার্থিংয়ের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব বাড়বে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের বড় জাহাজ ভিড়ানোর এই উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিসহ আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৮৮৭ সালে পোর্ট কমিশনার্স অ্যাক্ট প্রণয়ন করে ব্রিটিশ সরকার। ১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।
ইতোমধ্যে ১৩৫ বছর গত হয়েছে। মাত্র দুটি মুরিং টাইপের জেটি নিয়ে যে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল দিনে দিনে তা বিশাল কর্মযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে দেশের আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। বছরে গড়ে চার হাজারের বেশি জাহাজের আনাগোনা এই বন্দরে।
গত বছর ৩২ লাখ টিইইউএসের বেশি কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬০ মিটার লম্বা এবং ৭.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানো হতো। ১৯৮০ সালে এসে প্রথম ১৭০ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বার্থিং দেয়া হয়।
১৯৯০ সালে এসে ড্রাফট না বাড়িয়ে ল্যান্থ বাড়িয়ে ১৮০ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বার্থিং দেয়া শুরু হয়। ১৯৯৫ সালে এসে শুরু হয় ১৮৬ মিটার লম্বা এবং ৯.২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ।
২০১৪ সালে এসে বার্থিং দেয়া হয় ১৯০ মিটার লম্বা এবং ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ। প্রায় দশ বছর পর আজ থেকে নতুন করে ২০০ মিটার লম্বা এবং ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
গতকাল বিকাল ৫টার দিকে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী এমভি কমন এটলাজ নামের একটি মাদার ভ্যাসেল নিরাপদে বন্দরের নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালের এক নম্বর বার্থে নোঙর ফেলেছে। জাহাজটিতে বেসরকারিভাবে আমদানিকৃত ৩৬ হাজার ৪২৭ টন চিনি রয়েছে।
এমভি কমন এটলাজ গতকাল বন্দরে নোঙর করলেও বড় জাহাজ ভিড়ানোর কার্যক্রম আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। (তথ্য সূত্র ঃ ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম)
