“মধ্য চল্লিশেও হয় মহাকাব্যের ইতিহাস” -সুনন্দা শিরিন

Uncategorized অন্যান্য



২৫ জানে না মধ্য চল্লিশের হাহাকার বুকের ভেতর আগ্নেয়গিরির জ্বালাময়ী অগ্নুৎপাত, জানে না একাকিত্বের পোড়ন। জানে না মধ্য চল্লিশেই কেন শুরু হয় নতুন অধ্যায়
নতুন করেই পোড়ন।
কেন হয় চল্লিশের পরেই বুকের ভেতর হেমন্তের রঙিন উৎসব।
মধ্য চল্লিশেই অহরহ প্রেমে থাকে না কোন সংশয়। ২৫ জানে না,
মধ্য চল্লিশেই পোড়ে চোখ কতোটুকু বেশি চায় কতোটুকু একাকিত্বের তৃষ্ণা বিষ ঝরুক ঠোঁটে শ্রাবণের বর্ষা হয়ে অঝোর ধারায়। ২৫ জানে না মধ্য চল্লিশের পোড়ন কথা,
কতোটা চায় কাছাকাছি নিজেকে দেখে নেয়ার
আরেকটা আয়না।
জানে না, একটা মেঘ বাড়ির গল্প। চোখের জল বিরহে কতোটা মেশে নির্বিকার সমুদ্রের অদেখা নোনা জলে, কতটা গোপন কথার মিছিল ঘোরে বুকের ভেতর অসীম মায়ায় কেমন করে একটা ছায়া বেঁধে রাখে কতটা আপন করে।
কতোটা হয় লীন আত্মায় এক হয়ে। অনুভবের দায়-দেনার শোধ চল্লিশেই চায় সে কতোটা পুরোপুরি। জানে না, বুকের ভাঁজে লুকনো ঠিকানা চল্লিশে থাকে না আর গোপন।
মধ্য চল্লিশেই হয় তার স্পর্শের আগুনে পোড়ার নতুন করে কতোটা ওড়ন।

মধ্য চল্লিশেই বাসা বাঁধে বুকে এক ভয়ানক অসুখ।
আশ্চর্য এক পিছু টানে
গোপন আলিঙ্গনের অতলান্তিক নেশার আয়োজন হয় মন জুড়ে।
আদি স্পর্শের আগুন জ্বলে
খোঁজে মিহিদানার সুবাস,
চায় মন ভেজানোর উৎসব।
মনের চিলেকোঠায়
গোপন ইচ্ছেরা জেগে রয় চল্লিশেই খুব। বুকের পাটাতন বেয়ে সন্ধ্যা নামে প্রতিদিন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় সময় মধ্য রাতের কোলে। মনের বসতভিটায় ইচ্ছের হয় প্রবল আলোড়ন
পাঁজর ভাঙ্গার ডাক,
হয় প্রণয়ী সুধার খোঁজে রক্তক্ষরণ। জলের সঙ্গে পতঙ্গের গান আজন্ম অধিকারে টানে
ঘোচায় নিশ্বাসের দুরত্ব
ঠোঁটের ডগায় আঁকে নব্যতার দুর্লভ চিত্রকর্ম। বিরহ চায় না শব্দে উপমায়, চায়
হৃদয়ের একচ্ছত্র অধিকার কেবল। মনের ক্যানভাসে রঙ লাগে প্রেমে একাকিত্বের পোড়ন আঁধারে বসে খোদাই করে চলে ভালোবাসার অসম্ভব সুন্দর এক মায়াময় নিবিড় ভাস্কর্য।
হয় প্রণয়ের দাবি।
মধ্য চল্লিশেই চায়
নিশ্বাসে নিশ্বাস মেখে নিজেকে হারাতে পুরোপুরি।
গোধূলি নৃত্যের সন্ধ্যায় কাশফুল চেনে না কাঁটাতার,
ঠোঁট থেকে খুঁটে খুঁটে খেতে চায় রোদ কাছে আসার থাকে না আর দুরত্বের বিধান।
দুরত্বের প্রলেপ মেখে থাকে না আর অচেনা মুখোশ।
স্পর্শের কাঁপনে জেনে যায়
মধ্য চল্লিশেও হয় মহাকাব্যের ইতিহাস।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *