নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উছেন মে এর নেতৃত্বে “কেরানীগঞ্জ” ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের শুরুতে “ভোজন বাড়ী রেস্টুরেন্ট” মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ এবং প্রয়োজনী কাগজপত্র প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়। প্রতিষ্ঠানটিকে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ১৫ দিনের মধ্যে ঠিক করার নির্দেশ দেয়া হয়।
“মাসুম বেকারি এন্ড কনফেকশনারী” ছক্কা পট্টি জিনজিরা, পরিদর্শন কালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফায়ার লাইসেন্স, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ, পেস্ট-কন্ট্রোল এবং পানি পরীক্ষার প্রমাণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়।
“মাসুম বেকারি এন্ড কনফেকশনারী” ভিতরের এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পাওয়া যায় এবং প্রচুর পরিমাণে লেবেলহীন প্রস্তুত খাদ্যে পণ্য মজুদ করতে দেখা যায়।
এ সকল অপরাধে প্রতিষ্ঠানটি কে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান এবং তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে সকল প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ গুলো কে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়া করণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোছা: রৌশন আরা বেগম, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ছানোয়ার হোসেন, উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, কেরাণীগঞ্জ শাহীনুর ইসলাম এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্যের অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটেলিয়ন আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।