স্পোর্টস ডেস্ক : এবার কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার হলেন চার ভারতীয় ক্রিকেটার। বুধবার একজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার আরও দুইজন গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া কোচ এবং দলের মালিক একই গ্রেপ্তার হয়েছেন।
২০১৮ সালের আসরে ম্যাচ ফিক্সিং ও জুয়াড়িদের সাথে যোগাযোগ রাখার দায়ে প্রায় একমাস আগে এম বিশ্বনাথনকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর একই অভিযোগে ৬ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্সের ব্যাটসম্যান নিশান্ত সিং শেখাওয়াত। পরেরদিন গ্রেপ্তার হলেন কর্ণাটকের দুই সাবেক ক্রিকেটার আবরার কাজী ও সিএম গৌতম। এই দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছেন স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে। কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগের দল বেলারি টাস্কার্সের খেলোয়াড় তারা দুজন। গৌতম ছিলেন উক্ত দলের অধিনায়ক। অবশ্য তারা উভয়েই দল ছেড়েছেন। গৌতম গোয়াতে স্থায়ী হয়েছেন এবং আবরার গিয়েছিলেন মিজোরামে। তারা সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ অব বেঙ্গালুরুর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে হাবেলি টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছিল টাস্কার্স। ধীরগতির ব্যাটিং করার বিনিময়ে ২০ লাখ ভারতীয় রুপির প্রস্তাব পেয়েছিলেন তারা এবং সেটাই করেন। সেই ম্যাচটিও টাস্কার্স হেরেছিল ৮ রানে। এছাড়া আরও ম্যাচে তারা ফিক্সিং করেছেন বলে প্রমাণ মিলেছে।
উল্লেখ্য, শুধু খেলোয়াড়রা নয়, গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্সের বোলিং কোচ ভিসু বিনোদ। বেলগাভি প্যান্থার্স দলের মালিক আলি আসফাক থারাও গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং দলটিকে বরখাস্ত করা হয়েছে।