বরিশাল প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা (যুগ্ম পরিচালক) আজমল হুদা মিঠু সরকার।
তিনি জানান, বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি বরিশাল নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সব রুটের ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিক ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বরিশাল-ঝালকাঠিসহ উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে পায়রা সমুদ্র বন্দর ও বরিশাল-পটুয়াখালী-ভোলা নদীবন্দরসহ আশপাশের এলাকার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখন চার নম্বর সতর্কতা সংকেত রয়েছে। সতর্ক সংকেত আরও বাড়বে। ঘূর্ণিঝড়টি উড়িষ্যা উপকূল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় অঞ্চল বরাবর অগ্রসর হবে।
আজ দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে ‘বুলবুল’ একই এলাকায় অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ভোর ৬টায় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।