ইভিএম মেরামতের জন্য সরকারের কাছে এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন

Uncategorized জাতীয়



নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেরামতের জন্য সরকারের কাছে এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংক্রান্ত চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হাতে থাকা মেশিনগুলো মেরামতের জন্য এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ বিষয়টিই উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান জানিয়েছিলেন, হাতে থাকা দেড় লাখ মেশিনের মধ্যে ৪০ হাজার মেরামত অনুপযোগী। অবশিষ্ট এক লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামতের জন্য এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, টাকার নিশ্চয়তা আমরা এখনো পাইনি। টাকার নিশ্চয়তা না পেলে কাজ শুরু করে শেষ পর্যন্ত আমরা টাকা দিতে পারবো না। সেটা তো ঠিক হবে না। টাকার নিশ্চয়তা যদি পাওয়া যায়, আমরা অর্থবছরভিত্তিক- চলতি অর্থবছরে অর্ধেক এবং আগামী অর্থবছরে বাকি অর্ধেক টাকা দিতে একটা প্রস্তাব পাঠাবো।
তিনি আরও বলেন, যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। টাকা না পাওয়া গেলেও আমাদের করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো কয়টা আসনে ব্যালট আর কয়টাতে ইভিএমে ভোট হবে। কিংবা আদৌ ইভিএমে ভোট করবো কি না। কাজেই সবটাই নির্ভর করবে অর্থ পাওয়া না পাওয়ার ওপর।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল তৎকালীন কেএম নূরুল হুদা কমিশন। তখন জাতীয় নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় উপ-নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে দেখা যায়।

বর্তমানে কিছু ইভিএম বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) ওয়্যারহাউজে সংরিক্ষত আছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করতে হলে কমিশনকে সব মিলিয়ে প্রায় সোয়া লাখ মেশিন ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে হবে। সেগুলো মেরামতের ওপর নির্ভর করবে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে পারবে কমিশন। আর এই মেরামতের বিষয়টি নির্ভর করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বরাদ্দ ছাড়ের ওপর।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *