
নড়াইলে ভোক্তা অধিদপ্তরকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে,রক্ত চুষে খাচ্ছে,অসাধু পাইকাড়ি মুরগী ব্যবসায়ী,বাটুল মজুমদার
মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে ভোক্তা অধিদপ্তরকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে,রক্ত চুষে খাচ্ছে অসাধু পাইকাড়ি মুরগী ব্যবসায়ী,বাটুল মজুমদার,যেন দেখার কেউ নেই,প্রশাসন নিরব।নড়াইলে ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক রমজান মাস উপলক্ষে নিত্য পুণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিনাল ও রুপগঞ্জ বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি কালে বিভিন্ন পণ্যের দোকানে ও মুরগী বাজারে অভিযান পরিচালনা করলে দেখা যায় পুরাতন বাস টার্মিনার বাজারে বয়লার মুরগী ২০০ টাকা কেজি ও সোনালী মুরগী ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি করছে ব্যবসায়ী’র। কিন্তু একই বয়লার মুরগী ২২০ টাকা ও সোনালী মুরগী ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছে রুপগঞ্জ বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী’রা। এসময় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিকে খুচরা ব্যবসায়ী’রা জানান,আমাদের পাইকাড়ি মহাজন বাটুল মজুমদার আমাদের মুরগী’র দাম বেশি ধরলে আমরা কি করবো,
এমন অভিযোগ পেয়ে পাইকাড়ি মহাজন বাটুল মজুমদারের সাথে মুঠোফোনে ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক একই শহরে দুই বাজারে দুই দাম কেন,আপনি কেন মুরগীর দাম বেশি ধরছেন জানালে,সাথে সাথে বয়লার মুরগী ২০০ টাকা এবং সোনালী মুরগী ৩০০ টাকা বিক্রি করার কথা জানান,দোকানীদের। কিন্তু কিছু সময় পরে খুচরা ব্যবসায়ীদের,পাইকাড়ি ব্যবসায়ী বাটুল মজুমদার বলেন,কাল থেকে আমার দোকান ছেড়ে দিয়ে,ভোক্তা’র অফিসারের কাছ থেকে মুরগী নিবে বলে জানায়।
তবে কোন রকম মুরগীর দাম কোমায়নি। এসময় ভোক্তা অধিদপ্তর রুপগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধারায় জরিমানা আদায় করে,এবং রমজান মাস উপলক্ষে সকল ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেয়া হয়। এদিকে নড়াইলে পাইকাড়ি মুরগী বাজার বৃদ্ধির অজুহাত দিখেয়ে কৃতাদের রক্ত চুষে খাচ্ছে অসাধু পাইকাড়ি মরগী ব্যবসায়ী’রা,বেপাকে খুচরা মুরগী ব্যবসায়ীগণ,নিরব ভুমিকায় প্রশাসন। নড়াইল শহরের রুপগঞ্জ বাজারে দির্ঘ দিন ধরে পুরাতন বাস টার্মিনাল বাজার থেকে প্রতি কেজি মুরগীতে কম পক্ষে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেশিতে বিক্রি হয় রুপগঞ্জ মুরগী বাজারে। অনুষন্ধানে জানা য়ায়,হাতে গোনা কয়এক জন পাইকাড়ি মুরগী’র ব্যবসা করে। এর মধ্যে কেউ কেউ নিয়ম অনুযায়ী মুরগী ব্যবসা পরিচালনা করলেও কেউ কেউ গরিব অসহায় জনসাধারণের রক্ত চুষে খাচ্ছে দির্ঘ দিন ধরে। অনুষন্ধানে আরো জানা যায়,নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিনালে মুর্গীর বাজার সারা বছর রুপগঞ্জ বাজার থেকে অনেকটাই মুরগীর দাম কম থাকে,তবে রুপগঞ্জ মুরগী বাজারে কেন টার্মিনাল বাজার থেকে মুরগী’র দাম বেশি থাকে এমটাই প্রশ্ন নড়াইল বাসির। রুপগঞ্জ মুরগী বাজারের ব্যবসায়ী’রা নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক একাধীক খুচরা মুরগী ব্যবসায়ী ক্ষোব প্রকাশ করে জানান,আমরা বাইরে থেকে মুরগী আনতে পারি না,আমাদের ঘর মালিক আমাদের যে দামে মুরগী পাইকাড়ি ধরবেন এবং যে দামে মুরগী খুচরা বিক্রি করতে বলবেন,আমরা সেই দামে মুরগী বিক্রি করতে ব্যদ্ধ্য। আমাদের ঘর মালিকের কাছ থেকে মুরগী না নিলে তার ঘর থেকে নেমে যেতে হবে এ কারনেই আমরা কিছু বলতে পারি না। রুপগঞ্জ মুরগী বাজারে সব দোকান গুলি পাইকাড়ি ব্যবসায়ী’র। আমরা এ সিন্টিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই দোকান থেকে নেমে যেতে হবে এবং তার কথা মত দোকান চালানোর মত অনেক ব্যবসায়ী দোকানদার হাজির হয়ে যাবে,এজন্যই দোকান হারানোর ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারিনা,আমরা কাঠের পুতুলের মত তাদের কথামত ব্যবসা করে দিন শেষে তাদের টাকা পয়সা দিয়ে ডাল ভাত খাওয়ার মত কিছু নিয়ে বাড়ি চলে যায়,প্রতিবাদ করলে সেটাও হারাতে হবে বলেও জানান। খোজঁ নিয়ে আরো জানা যায়,দির্ঘদিন ধরে রুপগঞ্জ মুরগী বাজার সিন্টিকেটের মাধ্যমে মুরগী বিক্রি করে আসছে তবে চোঁখে পড়ছে না প্রশাসনের। পুরাতন বাস টার্মিনালে মুরগী কম দামে বিক্রি করলেও সেই একই মুরগী রুপগঞ্জ মুরগী বাজারে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে সিন্টিকেটের মাধ্যমে,দেখার কেউ নেই বলে দাবি নড়াইল বাসির। সকালে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে মুরগীর বাজার মূল্য নির্ধারণ হলেও ভোক্তা অধিদপ্তরের অফিসার বাজার ছেড়ে চলে গেলেই,সিন্টিকেটের ব্যবসা সুরু হয়,তবে আইন কে মানছে না,পাইকাড়ি মুরগী ব্যবসায়ী বাটুল মজুমদার।