পিংকি জাহানারা : সরকার নারীর সার্বিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭,২৮,২৯ এবং ৬৫ এর ৩ অনুচ্ছেদে নারীর অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে রাষ্ট্রের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে। অথচ বিভিন্ন স্তরে নারীরা পুরুষের সমান মজুরি পান না। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এ বৈষম্য অনেক বেশি।দেশের পোশাক কারখানাগুলোর শ্রমিকদের ৮০ শতাংশই নারী। বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ।
অর্থাৎ নারী শ্রমিকরাই দক্ষ। রাষ্ট্রীয়ভাবে ন্যূনতম মজুরি কাঠামো না থাকায় নারীদের কম মজুরি দিয়ে বঞ্চিত করছেন মালিকরা। বিষয়টি রাষ্ট্রীয়ভাবে তদারকির প্রয়োজন বলে জানান একুশে টেলিভিশনের খুলনার ব্যুরো প্রধান মহেন্দ্রনাথ সেন। বুধবার, ৩ মে দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে খুলনা মহানগরীর সাত রাস্তা মোড়স্থ শামীম হোটেলের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বিশ্বে যা- কিছু মহান সৃষ্টি চির- কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”।কোনোকালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারী; প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে বিজয়ালক্ষী নারী”। কবি
কাজী নজরুল ইসলাম এর এমন অনেক বাক্যের মাধ্যমেই নারীর অধিকার এবং নারীর সম্মানকে অনেক উপরে বিবেচনা করা হয়েছে। নারীর মর্যাদাকে পুরুষের সমমনায় দেখার ইঙ্গিত করা হয়েছে। বাঙ্গালীর অনেক
ইতিহাসের সাক্ষী নারীর অবদানের কথা ভুলবার নয়।
দীর্ঘ সময় ধরে নারীর ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে দেশের
বিভিন্ন সংগঠন নানা বিষয়ে নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে সক্রিয় রয়েছেন। সংগঠন অথবা নেতৃবৃন্দ নারীর অধিকার এবং মজুরিসহ নানা বিষয়ে নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ভুমিকা রেখে চলেছেন। কিন্তু অনেক বিষয়ে বৈষম্য নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও বাস্তবায়নে দেখা যায় দুর্বল নীতি।
এখনও নারীকে পুরুষের অর্ধেক কিংবা চার ভাগের তিন ভাগ মজুরি দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে নারীরা প্রতিবাদ করলেও তেমন কোন আশানুরুপ ফল পায় না। সমাজ এবং দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। নারীর মর্যাদা সুরক্ষায় পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা পরিবর্তনের গতি বাড়াতে হবে।
এরই অংশ হিসেবে অতি দরিদ্র, সাধারণ দরিদ্র, দক্ষ অথবা কম দক্ষ সকল বিবেচনায় নারী ও পুরুষের মজুরিবৈষম্য দূর হোক, নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হোক এটাই প্রত্যাশা। এবং উপরিউক্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে তুলে ধরার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Post Views: 255