মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে শিলতাহানী’র অভিযোগে বলরামপুর নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো:কামরুজ্জামানকে আটক করেছে পুলিশ। নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের বলরামপুর নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে শিলতাহানী’র অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো:কামরুজ্জামানকে নারী নির্যাতন দমন আইনে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়,খালু সাইফুল ইসলাম,মেয়েটির বাবা না থাকায় এতিম মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে রেখে মানুষ করতে বলরামপুর নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করেন এবং মেয়েটি ৯ পারা’র হাফেজ। মাইজপাড়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে গত (৬ মে) শনিবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,যশোর জেলার বসুন্দিয়া গ্রামের হাফেজ মো:কামরুজ্জামান (৫৫) বলরামপুর নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন। মাদ্রাসায় শিক্ষক হাফেজ মো:কামরুজ্জামান ছেলেদের পাঠদান করান এবং মেয়েদের পাঠদান করান,শিক্ষক হাফেজ মো:কামরুজ্জামানের স্ত্রী,এভাবেই পরিচালনা করা হয় মাদ্রাসাটি। ভুক্তভোগী শিলতাহানী’র শিকার কিশোরী’র খালু বলরামপুর গ্রামের মৃত-মালেক মোল্যা’র ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম,
সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন,
হুজুর পড়ায় ছেলেদের আর হুজুরের স্ত্রী পড়াই মেয়েদের। শিশুটি আমাকেসহ মাদ্রাসা কমিটির উপদেষ্টা ও বলরামপুর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী-লীগ সভাপতি আব্দুল অদুদ বিশ্বাস,একই গ্রামের মৃত-
আব্দুল গফ্ফার মোল্যা’র ছেলে মো:তহিদুর রহমানসহ ৭-৮ জনের সামনে মেয়েটি আমাদের বলে হুজুর রাতে দরজায় লাইট মারলে আমাকে ঘর থেকে বের হতে বলেছে,পরে হুজুর রাত ১২-১টার সময় দরজায় লাইট মারলে মেয়ে’রা সজাগ হয়ে গেলে হুজুর মেয়েদেরকে ঘুমিয়ে পড়তে বলে,কিছু সময় পরে আবারও হুজুর লাইট মেরে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে চুমু দেয়াসহ শিলতাহানী করে। ঘটনার সত্যতা শিকার করে মাদ্রাসা কমিটির উপদেষ্টা ও বলরামপুর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী-লীগের সভাপতি আব্দুল অদুদ বিশ্বাস ও একই গ্রামের মৃত-আব্দুল গফ্ফার মোল্যা’র ছেলে মো:তহিদুর রহমান বলেন,লোক জনের মুখে প্রথমে শুনে আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে রাতে আমরা ৭-৮ জন মেয়েটির খালু সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে বলি তুমি সত্য কথা বলবে কোন রকম মিথ্যা কথা বলবা না। এসময় মেয়েটি জানায়,তাকে মাদ্রাসার বারান্দায় নিয়ে চুমু দেয়াসহ শিলতাহানী করে। পরে জানা যানি হলে সাংবাদিক’রা আসলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে,এসময় আমরা প্রতিবাদ করি এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতায় পুলিশ এসে শিক্ষককে আটক করে এবং মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। ইউপি সদস্য ও মাদ্রাসার সভাপতি টিক্কা মেম্বার বলেন,
এক এক জন,এক এক রকম বলছে,আমি মেয়েটির কাছে শুনলে মেয়েটি বলে হুজুর লাইট মেরে ঘর থেকে বের করে এনেছে,পরে শুনি মেয়েটির সাথে এসব করেছে,মেয়েটিও এক এক সময় এক এক কথা বলছে। মাদ্রাসা কমিটির সাধারন সম্পাদক হাবিবুল্লাহ্ কাজী বলেন,
হুজুরের সম্পর্কে এ ধরনের কথা শুনি নাই,তবে মেয়েটির একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো,এত ছোট একটি মেয়ের সাথে কিভাবে সম্পর্ক হয় যানতে চাইলে জবাবে তিনি জানান,হুজুর আমাদের বলেছিলো,এ বিষয়ে। আমি মেয়েটির কাছে শুনলাম,মেয়েটিকে হুজুর লাইট মেরে ডেকে নিয়ে এসেছে,এসময় আমি মেয়েটিকে বল্লাম তুমি কেন রাতে বের হলে হুজুরের কথায়,তুমি কি পড়বে,মেয়েটি বলে আমি পড়বো,পরে আমি হুজুরের স্ত্রী’র কাছে পড়তে বলি এবং এ বিষয়ে যেন আর কিছু না শুনি বলে চলে আশি। পুলিশ সূত্রে যানা যায়,নারী নির্যাতন দমন আইনে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো:কামরুজ্জামানকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।