!! মন্তব্য প্রতিবেদন !! এটাই জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশমা

Uncategorized জাতীয় জীবনী বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি

শ্যামল দাশ টিটু :  এটাই জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশমা, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এখন আমেরিকা , ভারত এবং চীনের কাছে স্বর্ণের খনির মতো।


বিজ্ঞাপন

আমেরিকা এই ভৌগোলিক অবস্থানে চীনকে রুখতে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য বহু চাপের কৌশল আওয়ামীলীগ সরকারের উপর চালিয়েই আসছে । হ্যান করেঙ্গা , ত্যান করেঙ্গা কতো কি । এককথায় বলা যায় স্টীমরোলার চালিয়ে আসছে গত কয়েক বছর ধরে।

গণতন্ত্রের বুলি আওড়াতে আওড়াতে আমেরিকা সরকারকে দৌড়ের উপর রেখেছে বলা যায়। আবার স্যাংশনও দিয়েছে । এমনকি বহুবার আমেরিকা গাঁয়ের জোরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনেক নাক গলিয়েছে। যা ছিল কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।

এখানে লক্ষ্যণীয় যে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার নাক গলানোর পরও সরকার কিন্ত বেশ রিল্যাক্স মুডেই ছিল । এমনকি স্যাংশন দেবার পরেও। উল্টো আমারিকাকে নিয়ে ওপেন সমালোচনাও করতে ছাড়েনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এর মূল কারণ কি ? মূল কারণটা হলো জননেত্রী শেখ হাসিনা ভালো করেই জানে কাকে কিভাবে সামলাতে হয়। কিভাবে দেশের স্বার্থ রক্ষা করে সামনের দিকে এগোতে হয়। এটাই শেখ হাসিনার ক্যারিশমা।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অঞ্চলে ফায়দা লুটার জন্য আমেরিকা – ভারত – চীনের দাপাদাপিতে এক প্রকার সকলকে ব্যালেন্স করতেই “বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল” এর ঘোষণা দিয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। যেহেতু তিন শক্তিধর দেশই বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং করবে, সেখানে একটি শক্তির উপর নির্ভরশীল বেশি না হতেই এমন ঘোষণা বলে মনে হচ্ছে । এখন সব কুতুবরাই চুপ হয়ে গেছে। ফলে বিশ্বব্যাংকও ঋণ দিচ্ছে এবং আইএমএফও শেখ হাসিনার গুণকীর্তন করছে।

এখন প্রশ্ন হলো সরকার কি ভুল পথে এগুচ্ছে, না সঠিক পথে ? আমার বিবেচনায় সঠিক পথেই এগুচ্ছে । বাস্তবতার আলোকে বলা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও ক্যারিশমেটিক চিন্তাভাবনার ঘোষণা এই “বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল”।

কারণ ঋণতো আমাদের নিতেই হবে। ঋণ ছাড়া বড় বড় উন্নয়ন করাও সম্ভব নয়। অতএব সবাইকে একহাতে রেখে সামনে এগোনোর কৌশল এটা।

এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেও সহজ ছিল না মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য। তবে এটাও সত্য যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকবার, অনেক কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সফল হয়েছেন। এবারও হবেন আশা করছি l

আগামী ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৩ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শেখ হাসিনার অধীনেই। বিএনপি আসলেও হবে, না আসলেও হবে। বরং বিএনপি এতোদিন যে সকল বড় বড় কুতুবদের দ্বারস্থ হয়েছিল, তারাই এখন বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে বলে ধারণা করছি l

দেখা যাক কি হয়? আমার ধারণা ভুল না সঠিক হয়, সেটা সময়ই বলে দেবে।জয়তু শেখ হাসিনা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *