নিজস্ব প্রতিবেদক : এলজিইডি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এল.কে.এস.এস এর সচিব নুরুল ইসলামের যত দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ তদন্তের জন্যে দুদকে অভিযোগ, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের,

জানা গেছে, এলজিইডি’র অবসরপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বর্তমানে এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতি লি: (এল.কে.এস.এস.) এর সচিব নুরুল ইসলাম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়েরকৃত অভিযোগের বিবরন অনুযায়ী, ঢাকার বাড্ডা, উত্তরা,মিরপুর ও গুলশানে তিনি ১০টি বিলাসবহুল ফ্লাট কিনেছেন। ঢাকায় রয়েছে ২টি বহুতল বাড়ি। রয়েছে একাধিক প্রাইভেট কার। কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকার এফডিআর। যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক একাউন্ট তলব এবং সরজমিন তদন্ত করলে অভিযোগের প্রমান পাওয়া যাবে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রদত্ত অভিযোগে বলা হয়েছে।এলজিইডি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী থাকা কালে তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহন সহ বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারনে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও গ্রহন করা হয়েছিল। অবসরের পর এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতি লি: (এল.কে.এস.এস.) এর সচিবের দায়িত্ব নেয়ার পর এখানেও শুরু করেছেন লুটপাট।
সরকারি চাকুরি বিধি ভঙ্গ করে পিআরএল-এ থাকা কালেই এলকেএসএস-এ সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন। আবার বর্তমানে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সচিব পদে কর্মরত রয়েছেন।সমিতির মানব সম্পদ কেন্দ্র,গেস্ট হাউজ,প্রিন্টিং প্রেস,ফিলিং স্টেশন,নার্সারী, পিকনিক স্পট ও জমি ক্রয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। নুরুল ইসলাম এর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যে আবেদনে দুদকের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।