মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল জেলা’র লোহাগড়া উপজেলা’র তিন জন কর্তব্যরত সাংবাদিকের নামে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা নিয়েছেন লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসির উদ্দিন। কেন কিসের জন্য এ মিথ্যা মামলা রজু হলো এটা রয়েছে সাংবাদিকদের অজানা। এ মিথ্যা মামলা নেয়ায় লোহাগড়া উপজেলার কর্তব্যরত সাংবাদিকগণ তিব্রনিন্দা জানান। মিথ্যা মামলার শিকার,লোহাগড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মোঃ মনির খান,জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার (লোহাগড়া উপজেলা প্রতিনিধি),রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ নয়ন,জাতীয় দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার (স্টাফ রিপোর্টার) ও সাংবাদিক মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,জাতীয় দৈনিক আই বার্তা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি। কর্তব্যরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসির উদ্দিন,তদন্ত ছাড়াই মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা রজু করেছেন,কি কারনে বা কোন ক্ষমতাবলে এমন ঘটনা’র ক্ষোভ প্রকাশ করেন,নড়াইল জেলা সাংবাদিক মহল। জানা যায়,লোহাগড়া উপজেলার ৮নং দিঘলিয়া ইউনিয়নের সারোল গ্রামের মৃত-মোকাম শেখের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন (৪৫) (গ্রাম পুলিশ) বাদী হয়ে গত (৩ জুন) রাত ৮ টা ১৫ মিনিটের সময় সাংবাদিক মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,সাংবাদিক মোঃ মনির খান,সাংবাদিক শেখ নয়নসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মনগড়া মামলা দায়ের করেন। যেখানে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলায় ওই গ্রাম পুলিশ আলমগীর হোসেন উল্লেখ করে,ঘটনার দিন সেখানে একটি মানববন্ধন ছিল,মানববন্ধনের ভিডিও শেষে তার থেকে নাকি ২০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছিল বলে তিনজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে মোট সাতজন সাংবাদিকের নামে চাঁদাবাজি মামলা করে। অথচ অনুসন্ধানে পরিস্কার ভাবে বেরিয়ে এসেছে,গ্ৰাম পুলিশ বকুল হত্যার মানব বন্ধনে সাংবাদিক মনির খান ও সাংবাদিক শেখ নয়ন উপস্থিত ছিলেন না। গ্ৰাম পুলিশ বকুল হত্যার মানব বন্ধনের সময় ও মানব বন্ধনের পরের সময় সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস ও চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনের মধ্যে কি ঘটনা ঘটেছিল সেটা সাংবাদিক মনির খান ও সাংবাদিক শেখ নয়ন কিছুই জানে না। এই ২জন ওখানে উপস্থিত না থাকায়। চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন ও সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাসের মধ্যে হাতা হাতির ঘটনার পর সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস মোবাইল ফোনে সাংবাদিক মনির খানকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফোন করে বলেন,আপনি কোথায় উপজেলা গেটে মারামারি বেঁধেছে তাড়াতাড়ি আসেন। এ খবর পেয়ে সাংবাদিক মনির খান উপজেলা গেটে গিয়ে দেখতে পায় চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন তার ড্রাইভার সোহাগকে হকিস্টিক নিয়ে আসতে বলে এবং চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহীনি হকিস্টিক দিয়ে সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাসকে ধাওয়া করে মাহাবুরের মোটরসাইকেল গ্যারেজের ভিতরে ফেলে ব্যেধড়ক মারপিট করে গ্রুতর আহত করে।অথচ ঘটনাস্থলে সাংবাদিক মনির খান ও সাংবাদিক শেখ নয়ন উপস্থিত না থেকেও তাদের নামে মিথ্যা বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলার আসামি করা হয়েছে। জানা যায়,বৃহস্পতিবার (১জুন) লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে পূর্বের প্রকাশিত দুর্নীতি ও অনিয়মের নিউজ প্রকাশ করার কারনে সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস ও চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়,পরে গ্রাম পুলিশ বকুল হত্যার মানববন্ধনকে পুঁজি করে চেয়ারম্যান বোরহানউদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী হকিস্টিক দিয়ে সাংবাদিক দৈনিক আই বার্তা পত্রিকার (বিশেষ প্রতিনিধি) সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাসকে হত্যার চেষ্টা চালায়। চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন ওই সময় সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ দাঙ্গা হাঙ্গামা চালিয়ে সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাসকে হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে। আহত সাংবাদিককে স্থানীয়’রা উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেন। এ ঘটনা’র দিন রাতেই সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস লোহাগড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন,অভিযুক্ত সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ঘটনার তিনদিন পার হলেও থানা থেকে মামলা এজাহার ভুক্ত না করায়,
আজিজুর বিশ্বাসের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি বিএমএসএস এর সকল কেন্দ্রীয়,বিভাগীয় ও জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ এবং লোহাগড়ার সাংবাদিক সমাজ (৩ জুন) বিকাল ৪ টার সময় উপজেলার সামনে মানববন্ধন ও হামলাকারী সন্ত্রাসীদের আটকসহ বিচারের দাবি করেন এবং পরে মানববন্ধন করাই ওই দিন রাত ৮ টা ২৫ মিনিটের সময় সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাসের দেয়া মামলাটি রুজু হয় থানায়। এদিকে,৩ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় এবং কোন তদন্ত না করেই একটি অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজি মামলা রেকর্ড করার ঘটনায় সাংবাদিকগণ চরম ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর পাশাপাশি মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দায়েরকৃত বাদির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাংবাদিক সমাজ। এছাড়াও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান তার পোষা সন্ত্রাসী বাহিনীর এক সদস্যকে ব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় সাংবাদিকদের দমন করতে থানার মিথ্যা মামলা করেন,বলে জানান,মিথ্যা মামলার শিকার ৩ সাংবাদিক।