প্রভাবশালী  শহিদুল মহলদার খালে বেড়িবাঁধ দেওয়ায় ফলে খুলনার ফুলতলা বুড়েরডাঙ্গা গ্রামে সামান্য বৃষ্টি হলে শুরু হয় অকাল বন্যা 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন

মামুন মোল্লা (খুলনা) :  প্রভাবশালী  শহিদুল মহলদার খালে বেড়িবাঁধ দেওয়ায় ফলে খুলনার ফুলতলা বুড়েরডাঙ্গা গ্রামে সামান্য বৃষ্টি হলে শুরু হয় অকাল বন্যা। খুলনার ফুলতলা বুড়েরডাঙ্গা গ্রামে সামান্য বৃষ্টি হলে তলিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির উঠানে, রান্নাঘর, গোয়াল ঘর,সহ মুরগীর খামারের মধ্যে ৩/৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে ।


বিজ্ঞাপন

এই ব্যপারে স্হানীয় ফুলতলা ৪ নাম্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার এর সাথে আলাপ করে জানা গেছে,  বর্ষা মৌসুম এলে এলাকায় জুড়ে প্রায় ৪ ফুট ও কিছু কিছু স্থানে ৩ ফুট  পানিতে তলিয়ে যায়।

ফলে বসতভিটা ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। বিশেষ করে বুড়িডাঙ্গা, নাউদাড়ি, দক্ষিণ ডিহি, রাড়িপাড়া সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায়  জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় শত শত বাড়িঘর পানি নিচে তলিয়ে যায়।

এই ব্যাপারে ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও টিএনও সরেজমিনে এলাকা  পরিদর্শন করলেও সেটা উপরি মহলের আওয়াস মাত্র, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ।

রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে  স্হানীয় এলাকা বাসি সংশ্লিষ্ট দফতরে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য  একটি আবেদন ও করেছেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত পানি নি:স্কশনের কোন সু ব্যবস্ত হয়নি।

অকাল বন্যা সৃষ্টিকারীর জন্য এলাকায় ঘটে যেতে পারে যে কোন অপ্রিয়কর ঘটনা।

 

 

 

 

 

 

বিধায় পানি জমে কোন ড্রেন বা কালভার্ট না থাকায় পানি সরতে পারছে না ফলে সৃষ্টি হচ্ছে জলবদ্ধতার। জানা গেছে,  স্হানীয় প্রভাবশালী শহিদুল মহলদার খালে বেড়িবাঁধ দেওয়ার কারণে পানি জমে এই অকাল বন্যার সৃষ্টি করছে।

মারমুখী অবস্থান স্থানীয় জনসাধারণের।

যার কারণে দেখা দিয়েছে অকাল বন্যা, বিস্তার করছে  ডারিয়া, ম্যালোরিয়া,  সহ বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত  রোগ ব্যাধি। মানুষের আয়ের উৎস থেমে গেছে কাজ কর্ম নেই মুরগির ফার্মে দেখা দিয়েছে নানাবিধ রোগ বালাই এ ছাড়াও  ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ।

জলবদ্ধতার শিকার সাধারণ জনগণ।

এই এলাকা বিভিন্ন ধরনের বনজ ও ফলের নার্সারির জন্য বিখ্যাত অথচ এই জলবদ্ধতার কারণে নার্সারীর মালিক ও  ব্যবসায়ীরা হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

জলবদ্ধতার মধ্যেই চলছে বাধ নির্মাণের কাজ।

লক্ষ লক্ষ টাকার গাছের চারা নষ্ট হয়ে গেছে তাছাড়া নুন্যতম তিন শত বিঘা আমন ধানের উৎপাদন না হওয়ার আশংকা দেখ দিয়েছে। এই এলাকার মানুষ বেশিরভাগ ই  কৃষিজীবি, তারা চরম হতাশার মধ্য দিন যাপন করছে। অচিরে যদি পানি নিষ্কাশনের কোন সুব্যস্থা না করা হয় তাহলে এই এলাকার জনগণ বড়ো রকমের সংকটের মধ্যে পড়বে বলে এলাকার ভুক্তভোগী জনগণের দাবি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *