নড়াইলে মাদ্রাসার সহকারি সুপার পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ

মো:রফিকুল ইসলাম,(নড়াইল) :  নড়াইল সদর উপজেলার বিজয়পুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে সহকারি সুপার পদে নিয়োগ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে বিচার চেয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন,ভুক্তভোগী হাফেজ মাওলানা মুফতি মো:আবু তালহা।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগ পত্রে’র সুত্রে ও ভুক্তভোগী আবু তালহা জানান,গত ১০ মার্চ ২০০৫ সালে বিজয়পুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারি সুপার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং পাবনা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে সহকারি সুপার হিসাবে প্রশিক্ষন করে মাদ্রাসার সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে থাকেন তিনি।


বিজ্ঞাপন

পরে তৎকালিন এমপি মুফতি সহিদুল ইসলামের কাছ থেকে মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য ৩ টন চাল বরাদ্দ আনলেও আত্নসাৎ করেন,সুপার আজিজুর রহমান।এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে মাদ্রাসা সুপার ভুক্তভোগীর নিয়োগ পত্র কাটা ছেড়া করেন,বলে অভিযোগ রয়েছে।

পরে ভুক্তভোগী আবু তালহা আর্মিক্যাম্পে অভিযোগসহ ৬-২-২০০৭ তারিখে নড়াইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন,ভুক্তভোগী আবু তালহা,সদর থানার সাধারণ ডায়েরি নং-২৪২। এর পরে আবু তালহা মাদ্রাসায় গিয়ে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতে গেলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধা দেন মাদ্রাসা সুপার এবং বলেন মাদ্রাসা এম পি ও ভুক্ত হলে তারপরে আসবেন।

২০২২ সালে মাদ্রাসা এমপিও ভুক্ত হলে মাদ্রাসার সুপার আজিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আবু তালহাকে পুনরায় সহকারি সুপার পদে বহাল রাখতে ৮ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আবু তালহা দুই বারে মোট ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মাদ্রাসার সুপারের হাতে তুলে দেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আজিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বিকার করেন। গত ৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর বিজয়পুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আজিজুর রহমান ও তার সহযোগী কাগজিপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আফসার উদ্দিনের বিরুদ্ধে দূর্নীতি অর্থ আত্নসাৎ ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন ভুক্তভোগী।

এ অভিযোগের বিষয়ে আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার সকল ১১ ঘটিকার সময় উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে তদন্তের জন্য দিন নির্ধারন থাকলেও অদৃশ্য কারনে তদন্তটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জেলা শিক্ষা অফিসার মো:জাহাঙ্গির আলমের স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *