নিজস্ব প্রতিনিধি (যশোর) : জনৈক শাহিনুর বেগম, পিতা-মৃত ফজর তালুকদার, সাং – ভওয়াখালী, থানা ও জেলা -মাগুরা তার সাবেক স্বামী সালাউদ্দিন সরদারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গত ১২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, নড়াইল আদালতে নিজের ছেলে মো: মুনছালিন ওরফে মুছা (২০), পিতা – মৃত বুলু শেখ, সাং – গোপীনাথপুর, থানা – মুকসুদপুর , জেলা – গোপালগঞ্জ, বর্তমান সাং – বাইতুল আমান, উত্তর সাদীপুর, থানা ও জেলা – ফরিদপুরকে অপহরণপূর্বক ভারতে পাচার করেছে মর্মে মামলা রুজু করে। আদালত মামলাটি পিবিআই, যশোরকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে।
আদালতের নির্দেশে মামলাটি’র তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এসআই (নিরস্ত্র) মো: হাবিবুর রহমানকে নিয়োগ করা হয়। তদন্তকালে তিনি জানতে পারেন মামলার ভিকটিম তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ফরিদপুরে স্বপরিবারে বসবাস করে।
এ অবস্থায় পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর দিক নির্দেশনায় এসআই/ মো: হাবিবুর রহমান, এসআই/ মো: মহিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ গতকাল রবিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী, রাত অনুমান ৯ টা ২০ মিনিটের সময় ফরিদপুর থেকে ভিকটিম মো: মুনছালিন ওরফে মুছা (২০) কে উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম সে কোনো ধরণের অপহরণ বা পাচারের শিকার হয়নি। বাদী বিবাদীদের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় আদালতে মামলা দায়ের করে। বাদী ইতোপূর্বে একই বিবাদীদের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে অপহরণসহ পাচার মামলা করেছিলো এবং আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো।
ভিকটিমকে আজ সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী আদালত, নড়াইলে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: জুয়েল রানা এর নিকট ফৌজদারী কার্যবিধি’র ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে ভিকটিম জানায় তাকে অপহরণপূর্বক পাচারের বিষয়টি মিথ্যা।