মো : সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে গত ১৪/৩/২৪ তারিখে আফরোজা বেগম (১৯) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে ১৫/৩/২৪ তারিখে কোটালিপাড়া থানায় ৩০৪এ দি পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।মামলা নাম্বার জি আর ৪৮ তারিখ ১৫/৩/২৪ খ্রিঃ। মামলার সূত্র ধরে ঐ দিনই কোটালীপাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয় তিন আসামি রানু বেগম (৪৫) স্বামী কবির খান, জাহিদ খান (২৬) পিতা কবির খান উভয় সাং কলাবাড়ি কোটালিপাড়া ও ডাক্তার প্রভাস মন্ডল পিতা বিজয় মন্ডল সাং চাপরাইল, টুঙ্গিপাড়া গোপালগঞ্জকে গ্রেফতার করে গোপালগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
অন্যান্য আসামীরা হলেন শামীম খান পিতা শহিদ খান সাং কলাবাড়ি কোটালিপাড়া। ডাক্তার জাহিদ হাসান খান মিন্টু কোটালিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বর্তমানে এরা পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায় সময়ের আগেই প্রসূতির ইচ্ছার বিরুদ্ধ আসামিরা যোগসাজশে তাকে সিজার করার জন্য কোটালিপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়নখানা বাজারের ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৪/৩/২৪ তারিখে ভর্তি করেন। ভর্তির পর ডাক্তার জাহিদ হাসান খান মিন্টু প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান এবং ডাক্তার প্রভাস মন্ডল তাকে এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করেন।
এনেস্থিশিয়া ইনজেকশন পুশ করার সাথে সাথে রোগিনী ছটফট করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। উক্ত ঘটনা কোটালিপাড়া থানা পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে মৃত্যু প্রসূতির সূরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পরদিন মৃত প্রসূতির মাতা মনিকা বেগম কোটালি পাড়া থানায় উল্লিখিত মামলা দায়ের করেন। কোটালি পাড়া থানা পুলিশ গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে। আসামিরা জেল হাজতে ও পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।উক্ত হাসপাতালটি কোটালি পাড়া উপজেলা প্রশাসন সিলগালা করেছেন।