নিজস্ব প্রতিবেদক : আসছে ১৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান সূচীর মধ্যদিয়ে শ্রী শ্রী বাসন্তী মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তদুপলক্ষে প্রথম দিন ১৪ এপ্রিল রবিবার মহাষষ্ঠী পূজা, দ্বিতীয় দিন ১৫ এপ্রিল সোমবার মহাসপ্তমী পূজা, তৃতীয় দিন ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার মহা অষ্টমী পূজা, চতুর্থ দিন ১৭ এপ্রিল বুধবার মহা নবমী পূজা ও ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী।
কাহিনী অনুসারে জানা যায়- অনেক দিন আগে রাজারা যুদ্ধে পরাজিত না হওয়ার জন্য এক শক্তির উপাসনা করতেন। সেই হিসেবে মহামায়াকে অপার শক্তির সাথে তুলনা করা হয়, আর তার আশীর্বাদ প্রাপ্ত হলে কোন কাজেই পরাজিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই সমস্ত কাজে জয়ী হওয়ার জন্য শক্তির উপাসনা করার মধ্যে দিয়ে তারা তাদের লক্ষ্য ভেদ করতে পারতেন। বর্তমানে এখনো কিন্তু এমন তাৎপর্য বহন করে সেটা বাসন্তী পূজা হোক, অকালবোধন হোক অথবা শারদীয়া দুর্গাপূজা।
এদিকে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার আইসিটি সম্পাদক এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার বলেন- আসছে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু শ্রী শ্রী বাসন্তী মায়ের পূজা। তদুপলক্ষে জগতের মঙ্গল কামনার্থে মায়ের আশীর্বাদ লাভের আশায় বিগত বছরের ন্যায় এবারও শান্তি ও সৌহার্দ্য পূর্ণ পরিবেশে মায়ের রাতুল চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়াও “হে মহা ভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ কর” এ মন্ত্র উচ্চারণ করে পাপমোচন এর আশায় পবিত্র তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দ এ-র ন্যায় কুমিল্লা শহরতলী আড়াইওরা সার্বজনীন মহাশ্মশান ও কালীবাড়ি সংলগ্ন গোমতী নদীতে অষ্টমী স্নানোৎসব লক্ষাধিক পূর্ণাথীরা সমাগম ঘটবে। স্নানের সময় ফুল, বেলপাতা, ধান, দুর্বা, হরিতকি, ডাব ও আমপাতা ইত্যাদি পিতৃকুলের উদ্দেশ্যে নদীর জলে অর্পণ করবেন পুণ্যার্থীরা।
স্নানের লগ্ন শুরু হবে ১৫ এপ্রিল সোমবার দিবা ৪টা ২১ মিনিট ০১ সেকেন্ড গতে আর শেষ হবে পরদিন ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার অপরাহ্ন ৪টা ৫৭ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের পর। লগ্ন শুরুর পর পুণ্যার্থীদের ঢল নামবে নদীর তীরে। সনাতন ধর্ম মতে, এটি একটি পুণ্যকর্ম এবং এই স্নানের মাধ্যমে তাদের পাপমোচন ঘটবে। এই পাপমোচনের অভিপ্রায়ে স্নান উৎসবে লাখোলাখো পুণ্যার্থী সমবেত হবেন নদীর তীরে।
তিনি আরও বলেন- দুর্গাপুজোর মতোই সব নিয়ম আচার মেনে বাসন্তী পুজো করা হয়। বসন্ত কালে এই দুর্গাপুজো হয় বলে একে বাসন্তী পুজো বলা হয়ে থাকে।