নিজস্ব প্রতিবেদক : মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে কোম্পানি (সংশোধন) আইন-২০২০ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিব বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে এটি করা হয়েছে। এ আইন সংশোধনের ফলে আগে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের সময় যে লোগো রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ছিল তা তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে। এর ফলে ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের র্যাংকিং ওপরের দিকে উঠবে। আমাদের ইজ অব ডুয়িংয়ের বিজনেস সমৃদ্ধ হবে।
এছাড়া ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস বাংলাদেশ আইন-২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মান সংস্থা বা আন্তর্জাতিক মানক সংস্থা (আইএসও) অনুযায়ী কেমিক্যাল সংক্রান্ত যেকোনও পরীক্ষা এই ইনস্টিটিউটে করা সম্ভব হবে। এজন্য আর বাইরে যেতে হবে না বলে জানিয়েছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।।
তিনি আরও বলেন, এটি কোনোভাবেই বিএসটিআই’র সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। এই ইনস্টিটিউটের প্রধান হবেন মহাপরিচালক (ডিজি)।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকল অন ট্রান্স-বাউন্ডারি এলিফ্যান্ট কনজারভেশন বিটউইন রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া এর খসড়ার ভুতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এটি করা হয়েছে অনেক সময় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া ভেত হয়ে বন্যহাতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ২৩ হাতি মারা গেছে এবং বন্যহাতির আক্রমণে মারা গেছেন ৩৩ জন। এছাড়া হাতির আক্রমণে অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসল নষ্ট হয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল।
এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘জাতীয় তেল ও রাসায়নিক নিঃসরণ কনটিনডেনসি পরিকল্পনা’ এর বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রণীত খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।