ডা: বরুণ দত্ত , প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের গ্রেডেশনের ১ এর (পরিচালক বাজেট)।
বিশেষ প্রতিবেদক : মাত্র কয়েকমাস হলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের গ্রেডেশন তালিকার ১৯ নম্বরে থাকা ডা: বরুণ দত্ত , প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের গ্রেডেশনের ১ এর (পরিচালক বাজেট পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন। এর আগে তিনি হাইভোল্টেজ তদবীর করে ডা: সুফিয়ানকে সরিয়ে দেন। পরবর্তীতে নিজেই অধিদপ্তরের পরিচালক বাজেট’র পদটি বাগিয়ে নেন।
তবে একাধিক সুত্রমতে এক ,মন্ত্রী তার এলাকার হলেও ডা: বরুণকে চিনতেন না।মন্ত্রীর খুব ঘনিষ্ট জনদের ধরে আর্থিক সুবিধা দিয়ে তিনি পদটি বাগিয়ে নেন। তবে অল্প কয়েকদিনের মধো মন্ত্রীর ছোট ও মেঝ জামাইয়ের মাধ্যমে বাসায় যেয়ে মন্ত্রীর সংগে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন সুচতুর ডা: বরুন। তিনি এখন প্রতিদিন মন্ত্রীর বাসায় যাতায়াত করেন এবং মন্ত্রীকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন। তার আর্থিক দুর্নীতি ও খারাপ ব্যবহারের কারণে চাকুরী জীবনে কোন স্টেশনে ৭/৮ মাসের বেশী চাকুরী করতে পারেননি এবং সব সময় শাস্তিমুলক পোসটিং পেয়ে এ পর্যন্ত এসেছেন ডা: বরুন। পরিচালক পদে পদোন্নতির পূর্বে তার পোসটিং ছিলো রাংগামাটি।
পরিচালক (বাজেট) হিসাবে পদায়িত হওয়ার পর পরই তিনি আর্থিক সুবিধা আদায়ের ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অধিদপ্তরের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার সংস্কার কাজের জন্য তাকে দিতে হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা কমিশন। ২ টি সমাপ্ত প্রকল্পে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগে ৪ টি প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে নগদ অগ্রিম গ্রহন করেছিলেন মন্ত্রীকে দিতে হবে বলে।
তবে চুক্তি অনুযায়ী টাকা কম হওয়ায অন্য প্রতিষ্ঠান এর নিকট হতে ( কৃষ্ণা সিকিউরিটি সার্ভিস) এর নিকট হতে বেশী টাকা নিয়ে তাদের হালনাগাদ কলকারখানা পরিদপ্তরের সনদপত্র না থাকার পরেও মন্ত্রীর নাম বিক্রি করে কমিটির সদস্যদের নিকট হতে ভয় দেখাইয়া সাক্ষর নিয়ে মূল্যায়ন ও সুপারিশ করেছেন।
এই বরুণ সেই আলোচ্য কমিটির সভাপতি। এছাড়া সমাপ্ত প্রকল্পের কর্মকতাদের ( ভেটিরিনারী সার্জনদের) বকেয়া টাইমস্কেলের বিল পরিশোধের জন্য অর্থ বরাদ্দের বেলায় জনপ্রতি ২০,০০০ হাজার করে টাকা দাবী করেছিলেন ডা বরুণ। তিনি এখন প্রকাশ্য বলে বেড়ান “মন্ত্রী মো: আব্দুর রহমান তার সেকেন্ড দেবতা, আর এই দেবতার মত সনতুষটি রাখাই তার প্রধান কাজ।
সম্প্রতি ডা: বরুণ মন্ত্রীকে বুঝাইয়া অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ২ টি উপ পরিচালকের পদসহ ৭/৮ জন কর্মকতাকে বদলী করিয়েছেন।যাদের ঐ ২ টি পদসহ অন্য পদে দিয়েছেন তাদের ঐ সকল পদে চাকুরীর কোন অভিজ্ঞতাই নেই।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের ডিজির মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বদলীর বিষয়ে তিনি মন্ত্রণালয়ে কোন প্রস্তাব দেননি বা কিছু জানতেন না।সুত্রমতে, আলোচ্য বদলীর বেলায়ও ডা: বরুণ মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন করেছেন।
ডা: বরুণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের পদটি পাওয়ার জন্য ফরিদপুরের ও বোয়ালমারীর অনেক রাজনৈতিক নেতার কাছে ধর্ণা দিয়েছিলেন, এবং তাদের নিকট হতে লিখিত সুপারিশ নিয়ে মন্ত্রীর নিকট জমা দিয়েছিলেন যা চাকুরী বিধির পরিপন্থি ।
অধিদপ্তরের ও মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র অনেক অফিসারের মতে মন্ত্রী একজন সহজ সরল মানুষ, তাকে ডা: বরুণ এলাকার লোক হিসাবে যেভাবে ভুল বুঝাইয়া আর্থিক সুবিধা নিয়ে কাজ করছেন তাতে মন্ত্রীর দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্ন হতে যাচ্ছে, এবং তিনি খুব শীঘ্রই বিব্রত হবেন।
সর্বশেষ ডা: বরুণ দত্ত মন্ত্রীকে ভূল বুঝাইয়া ২ বছরের জন্য আর্থিক ভাবে সাজা প্রাপ্ত ৫ম গ্রেডের ১ জন কর্মকতাকে ৩য় গ্রেডের পদে চলতি দায়িত্ব প্রদানের পরামর্শ দিয়ে আদেশ জারী করাইয়াছিলেন। পরে মন্ত্রী বিষযটি বুঝতে পেরে উচ্চতর পদে পদায়ন আদেশটি বাতিল করেছেন।
এই ইস্যু নিয়ে মন্ত্রীর বাসার লিফটে মারামারি পর্যন্ত হয়েছে। যার মুল নায়ক ছিলেন এই ডা: বরুণ কুমার দত্ত।বিষযটি অধিদপ্তরের ডিজি মন্ত্রনালয়ে প্রেরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। এখন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ডাঃ বরুণ আতংক বিরাজ করছে।