রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানীতে মাহমুদা বেগমের অবৈধ পদন্নোতির অপচেষ্টা !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক :  পেট্রবাংলার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানীতে ব্যবস্থাপক মাহমুদা বেগমের অবৈধ পদন্নোতির চেষ্টা চলছে মর্মে অভিযোগ পাওয়াগেছে। পদন্নোতি কমিটির এক কর্মকর্তার বিশেষ আর্শীবাদ থাকায় তিনি অযোগ্য হয়েও পদন্নোতি পেতে যাচ্ছেন বলে দাবী করা হয়েছে। মাহমুদা বেগম বর্তমানে ব্যবস্থাপক, ট্রেনিং, আরপিজিসিএল, পেট্রো বাংলা পদে কর্মরত রয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, আরপিজিসিএল এর প্রশাসন বিভাগের একজন ডিজিএম এর নিকটতম আত্মীয় মাহমুদা বেগম পদোন্নতির রেটিংশীট এ পদোন্নতি কমিটির নিকট সত্যতা গোপন করেন। তথাপিও তাকে তৎসময়ে পদোন্নতি দেয়া হয়। এখন আবারো তাকে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছে পদন্নোতি কমিটি।


বিজ্ঞাপন

ম্হমুদা বেগমের উপ-ব্যবস্থাপক হতে ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর আরপিজিসিএল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং সিবিএ এবং অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারী কর্তৃক অনিয়মের বিষয়টি উপস্থাপন এবং আলোচনা হলে আরপিজিসিএল কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। বর্ণিত দুটি তদন্ত কমিটি মাহমুদা বেগমের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে তার অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের বিষয়টির সঠিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা নেই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে। দেখা যায়, অত্র কোম্পানির দুইটি কমিটি কর্তৃক মাহমুদা বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ বরাবর কোন আবেদনই করে নাই।

মাহমুদা বেগম আরপিজিসিএল এর প্রশাসন বিভাগের একজন ডিজিএম এর নিকটতম আত্মীয় হওয়ায় পদোন্নতির রেটিংশীট এ পদোন্নতি কমিটির নিকট সত্যতা গোপন করে তাকে তৎসময়ে পদোন্নতি দেয় হয়।
সরকারি চাকুরী বিধিমালার শর্তানুসারে কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারি যদি চাকুরীকালীন সময়ে অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রী অর্জন করতে চান তবে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমোদন নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু মাহমুদা বেগম সেটি না নিয়েই অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রী অর্জন করেছেন এবং সেই শিক্ষা সনদের ভিত্তিতে পদন্নোতি পাওয়ার আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত একজন সচিবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কর্তৃপক্ষের পুর্ব অনুমোদন ব্যতীত কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারি অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে পারেন না। যদি কেউ গোপনে সেটি করেও থাকেন তবে সেই শিক্ষা সনদের ভিত্তিতে পদন্নোতি পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
এ বিষয়ে ব্যবস্থাপক মাহমুদা বেগমের বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, আমার পদন্নোতির বিষয়ে কোন আইনের বত্যয় ঘটেনি। আমি আমার শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে পদন্নোতি পাওয়ার অধিকারী। আর সে কারণেই পদন্নোতি চেয়েছি।

এ বিষয়ে আরপিজিসিএল এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করেছেন সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তাবৃন্দ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *