নিজস্ব প্রতিনিধি (কুমিল্লা) : কুমিল্লা জেলা ট্রেজারি কর্মবিরতিতে জরুরি ট্রেজারী ভোগীদের কাছ থেকে হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক(সিজিএ) ও অর্থ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিবদের নাম ভাঙ্গিয়ে লাখ টাকা ঘুষে কাঙ্খিত সেবার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় কুমিল্লায় দশম গ্রেড বাস্তবায়ন চেয়ে হিসাবরক্ষণ অফিস অডিটদের পদ দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে অফিস খোলা রেখে কর্ম বিরতির অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের ঘুষ। জিম্মি জরুরি ভোগীরা নিরুপায় হয়ে বাধ্য হচ্ছেন ঘুষের টাকা দিয়ে সেবা নিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ি জানায় আজ দশদিন যাবত আমার একটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিল নিয়ে ঘুরতেছি। জেলা হিসাব রক্ষক মোঃ ইকবাল মোর্শেদ আমাকে ডেকে নিয়ে আমার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করে, তিনি জানায় এই টাকা নাকি প্রধান সিজিএ থেকে শুরু করে অর্থ মন্ত্রনালয় পর্যন্ত টেবিলে টেবিলে পাঠানোর পর’ই তিনি বিল ছাড়ার অনুমতি পাবেন। অন্যথায় হেড অফিস থেকে বন্ধ করে রাখা সার্ভারে ডুকতে পারবেন না।
ঘুষের দুই লক্ষ টাকা দিতে অপরায়ক হওয়ায় আমার বিলটি কর্মবিরতির অজুহাতে আটকিয়ে রাখেন। কিন্তু গত ৬ ই সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ ঘটিকায় আমার সামনেই এলজিইডি’র জিওবি মেইন্টেনাইসের একটি বিল ঘুষের বিনিময়ে ছাড়িয়ে নিয়েছেন। কিন্তু আমি ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষারত থাকলেও আমার বিলটি দেয়নি, উল্টো ঘুষ না দেওয়ার অপরাধে আমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও গালমন্দ করে বের করে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আইনের আশ্রয়ে সহযোগিতা পেতে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও তিনি জানান।
একাধিক ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে শান্তিপ্রিয় মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়দের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একদল কু-চক্রী মহল জোড় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কর্মবিরতির নামে কুমিল্লা জেলা ট্রেজারি শাখায়, হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক(সিজিএ) ও অর্থ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিবদের নামে ঘুষে’ই মিলছে কাঙ্খিত সেবা।