মোদিকে বাদ দেয়াটা অকল্পনীয়: কাদের

এইমাত্র রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিল্লি ইস্যু নিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপনে ভারতকে আমন্ত্রণ থেকে বাদ দেয়াটা অকল্পনীয়। অকৃতজ্ঞতার পরিচয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দিল্লির সহিংসতা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যার সমাধান তাদেরকেই করতে হবে। এটাতে আমাদের নাক গলানো ঠিক হবে না। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভূমিকা অপরিসীম। সেসময় তারাই ছিলো আমাদের প্রধান মিত্র দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্বকে আমরা বাদ দেব-এটাতো চিন্তাও করা যায় না। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক নানা ইস্যুতে আলাপের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সহিংসতার কারণে সমালোচনার মুখে থাকায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আনা উচিত হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের এই পরিস্থিতির অনেক আগেই নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে দিল্লিতে চলছে সহিংসতা। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শুরু হওয়া এই সহিংসতায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ জন।
অন্যদিকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় বলা হয়, দুদক বিরোধীদের হয়রানি করে, ক্ষমতাসীনদের প্রতি নমনীয়।
টিআইবির এমন প্রশ্নের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ক্ষমতাসীন দলটির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুদক ততটুকুই স্বাধীন যতটুকু সরকার চায়, এমনটি হলে সরকারের এত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের আজকে এত তদন্ত, এত চার্জশিট কেন? সরকারের অনেক এমপি, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক দর্নীতির অভিযোগ এনেছে। যদি দুদক স্বাধীন না হতো তাহলে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা কেন টার্গেট হবে? তাদের (টিআইবি) কাছে আমার পাল্টা প্রশ্ন।
ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে মার্চে মাসে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততা খুব বেশি। আপনারা জানেন, মুজিববর্ষের ক্ষণ গণনা চলছে। আর ১৭ না ১৮ দিন বাকি রয়েছে। মুজিববর্ষে বিদেশি অতিথিরাও আসবেন। এজন্য যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে চলছে। প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায় এখন।
মন্ত্রী বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন আমাদের খুব জরুরি বিষয়। এটা যোগযোগের জন্যও খুব প্রয়োজনীয়। কারণ, মুজিববর্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে অনেকেই যাবেন। সে যাত্রার সময় বাঁচানো ও সহজ করার বিষয় রয়েছে। এটা অত্যান্ত দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ে। এর কাজ শেষ হয়েছে, এখন উদ্বোধন হবে।
তবে প্রধানমন্ত্রী কর্মব্যবস্ততার কারণে আপাতত উনি বিষয়টিতে দুইভাবে ভাবছেন। তিনি ভাবছেন, আগামী ১৭ মার্চ উপলক্ষে বাইরোডে তিনি টুঙ্গিপাড়া যাবেন। তার আগেই ১১-১২ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করবেন। ঢাকা-ভাঙ্গা যে এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে, সে রাস্তা ধরে প্রধানমন্ত্রী হেলিকাপ্টারে না গিয়ে বাইরোডে টুঙ্গিপাড়া যাবেন। সেটাও চিন্তাভাবনা আছে।
খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা বিষয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, করাপশন ইজ করাপশন। এটা ২০০ কোটি না ২ কোটি এটা আমি দেখব না। যখন আপনারা ন্যায়বিচারের দিকে যাবেন তখন করাপশনের পারসেপশনটা নিয়ে ভাববেন তখন আপনি কী ভাববেন? এ ক্ষেত্রে টাকার অংকটা ভাববেন না, করাপশনটা হয়েছে সেটা দেখবেন।
এখানে টাকার অংক ২০০ কী দুই সেটা কোনো বিষয় না। বিষয়টা হচ্ছে করাপশন হয়েছে কি না? টাকার অংক দিয়েতো দুর্নীতি পরিমাপ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে একই সঙ্গে এতিমের অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এটা কত টাকা, এটা কোনো বিষয় নয়। বিষয়টা হচ্ছে এখানে মারাত্মক একটা দুর্নীতি হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *