ফলোআপ
আজকের দেশ রিপোর্ট : ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নাকের ডগায় উৎপাদন ও বাজার যাত হাচ্ছে অবৈধ, ভেজাল ও নিম্নমানে ওষুধ। আলোচিত সমালোচিত ও বিতর্কিত বেশকয়টি ওষুধ কোম্পানী লাগামহীন ভাবে এই ধরনের অপকর্ম বেশ দাপটের সাথেই চালিয়ে যাচ্ছে। দাপুটে এই কোম্পানীর মধ্যে সাভারের একরাম ল্যাবটরিজ (আয়ু), জুরাইনের দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এবং জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) অন্যতম। এই তিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক একরাম, লিটন ও তাসলিমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়মনীতিকে পাশ কাটিয়ে লেবেল কার্টুন ও ট্রেড নামে অনুমোদন ব্যাতীত ওষুধ সামগ্রীর উৎপাদন ও বাজারজাত করার অভিযোগ আছে। এছাড়াও উক্ত কোম্পানী একই ডিএআর নাম্বার ব্যবহার করে একাধিক ওষুধ ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে উৎপাদন ও বাজারজাত করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে আজকের দেশসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এর ভিত্তিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে অভিযুক্ত কোম্পানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। এই অভিযোগ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সৎ ও দায়িত্ব পরায়ন কতিপয় কর্মকর্তার। অভিযোগ অনুযায়ী জানা যায় একরাম ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) ম্যানুফেক্সার লাইসেন্স নাম্বার আয়ু- ০৮১, উক্ত কোম্পানীর মালিক একরাম হোসেন ফ্রি ষ্টাইলে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই শুক্রসুধা নামে ২০০ গ্রাম হালওয়া এবং শ্রী কামেশ^র মোদক নামে দুই প্রকার যৌন উত্তেজেক হালওয়া ও মোদকে একই ডিএআর নাম্বার ব্যবহার করছে যা ডিএআর নং- আয়ু-১০২-এ-০১৫। আবার সঞ্জীবনি মোদক ২০০ গ্রাম (শ্রী মদনান্দ মোদক) রুচি কর্ধক, স¦াস্থ্যহিনতা, ওজন বৃদ্ধি করে, মানষিক দুর্বলতা ও চেহারায় লাবন্যতা বৃদ্ধিতে কার্যকর। এর ডিএআর নাম্বার আয়ু-১০২-এ-০২৭ এর মূল্য ১২৫০/- টাকা শ্রী কামেশ^র মোদক এর মূল্য ১,০০০/- টাকা শুক্রসুধা হালওয়া মূল্য ৩০০ টাকা নির্ধারণ করছে একরাম ল্যাবরটরিজ (আয়ু)। এছাড়া এটাইজার (ভাস্কর লবণ) ট্যাবলেট ৩০টির পট, অগ্নিমন্ধা, অজীর্ন, অরুচি, রুচিবর্ধক, চেহেরার ল্যাব্যণতা বৃদ্ধি করে এবং সু-স্বাস্থ্যর জন্য বিশেষ কার্যকর। এই ট্যাবলেটের ডিএআর নাম্বার আয়ু-১০২-এ-০৩৭, মূল্য ২৫০/- টাকা। এ-এজমোনিল (শ^াসকাস চিন্তামণি) সর্দি, কাশি, হাপানি শ^াসকষ্ট নিবারক ট্যাবলেট (৩০টির ১পট) এর মূল্য ২৫০/- টাকা। শুক্রসুদা হালওয়া, শ্রীকামেশ^র মোদক এর ভেতর সিলড্রেনাফিন সাইট্রেড ও ট্রাডালাফিন সাইট্রেড ও হরমোন জাতিয় ক্যামিকেল ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে এবং এই দুইটি ওষুধের নাম ভিন্ন হলেও ডি.এ.আর নাম্বার (আয়ু-১০২-এ-০১৫) একই যাহা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ নিয়ন্ত্রন অধ্যাদেশ পরিপন্থী। জুরাইনের দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর ম্যানুফেক্সার লাইসেন্স নাম্বার আয়ু-০৬২। উক্ত কোম্পানীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং র্যাব ফোর্সেস ব্যাটালিয়ন (র্যাব) একধিকবার ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিপুল অংকে অর্থ জরিমানা করে কোম্পানীটি সীলগালা করে। দি-টোন ও বলারিষ্ট নামে একই ডিএআর নাম্বার (ডিএআর নাম্বার আয়ু-৪৯-এ-০৭) ব্যবহার করে ভিটামিন সিরাপ প্রস্তুত ও বাজারজাত করছে ঐ প্রতিষ্ঠান। দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর মালিক লিটন বর্তমানে ধরাকে সরাজ্ঞান পর্যন্ত করছেন না। এই ভাবে ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করে তিনি পাঁচ তলা বাড়ী ক্রয় করে গর্র্বীত বাড়ির মালিক বনে গিয়েছেন। জুরাইনের অপর প্রতিষ্ঠান জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস আয়ু এর মালিক তাসলিমা বেগম জেনেসিস বলারিষ্ট এবং জিও-ভিট নামের দুইটি ভিটামিন সিরাপে একই ডিএআর নাম্বার (আয়ু-১২৮-এ-০১০) ব্যবহার পূর্বক উৎপাদন ও বাজরজাত করছে, যা ওষুধ নিয়ন্ত্রন অধ্যাদেশ পরিপন্থী। আবার সিরাপ দশমুলারিষ্ট এবং ভিগো-১০ নামক দুইটি ভিটামিন সিরাপে ও একই ডিএআর নাম্বার (আয়ু-১২৮-এ-০৩২) ব্যবহার করছে। অন্য দিকে জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর কারখানায় গোপনে জেনেসিস ম্যানুফাক্সারিং কোং নামক আলাদা ড্রাগ লাইসেন্স বিহিন একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে পাওয়ার প্লাস নামক ৫০০ মি.লি. ফ্রুটি সিরাপ উৎপাদন ও বাজার জাত করছে এবং উক্ত পাওয়ার প্লাস নামক ফ্রুটি সিরপের লেবেল কাটুনে বডি বিল্ডারের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড় বলারিষ্ট, দশমুলারিষ্ট এবং ভিগো-১০ নামক ভিটামিন সিরাপে অবৈধ ভাবে মানুষের ছবি ব্যবহার করছে জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু)। এই সকল অভিযোগের বিষয়ে একরাম ল্যাবরেটরিজ (আয়ু), দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এবং জেনেসিস ফার্মসিউটিক্যালস (আয়ু) এর মালিক পক্ষের বক্তব্য জানতে প্রত্যেকের মোবইল এর যোগাযেগ করা হলে তারা মোবাইল রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব হলো না।