গ্রেফতারকৃত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক।
মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিককে গ্রেফতার করেছে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১টার সময় গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হকের সাথে ঠিকাদারী ব্যবসা বিষয়ক গোপন বৈঠক শেষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানা সূত্রে জানা যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অনুমানিক দুপুর ১টার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সিদ্দিকী শিকদারকে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় নিচ থেকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলার ১৬ নম্বর আসামি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, আবু সিদ্দিকী সহ জেলা-উপজেলা আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই নিয়মিত নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হকের কাছে আসতেন। আজ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিকী শিকদার নির্বাহী
প্রকৌশলীর সাথে ব্যবসায়ীক আলাপ করে নিচে নামার পর পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক করেছে। এই নেতার আমাদের দপ্তরে বিভিন্ন ঠিকাদারি ফার্মের নামে বেশকয়েকটি কাজ চলমান রয়েছে।
গোপালগঞ্জ এলজিইডির তালিকাভুক্ত কয়েকজন ঠিকাদার জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক ২০২০ সালে গোপালগঞ্জ জেলায় যোগদান করেই জেলা-উপজেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে গোপন আঁতাত করে লাভ্যাংশ ভাগাভাগির চুক্তিতে বড় বড় কাজের গোপন প্রাক্কলন মূল্য জানিয়ে দিতেন। এভাবেই অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়ে গোপালগঞ্জ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী এধরনের অনিয়মের কারণে মূলধারার অনেক ঠিকাদার ইতোমধ্যে পথে বসে গেছেন।
এবিষয়ে জানতে গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হকের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।