নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোন আপস নেই। এক্ষেত্রে দল-মত নির্বিশেষে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। শান্ত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। উগ্রবাদী সংগঠনের সন্ত্রাসীদের দ্বারা মুসলিম আইনজীবিকে হত্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যানারে দাবি-দাওয়া নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকেও বারবার মাঠে নামানো হচ্ছে। সীমান্তে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদেরকে জড়ো করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকীর মুখে ফেলা হয়েছে।
আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। ভারতীয় পুলিশের সামনে পতাকায় অগ্নিসংযোগ করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করা হয়েছে। আমরা ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের এসব অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উচিত বাংলাদেশে নয়, ভারতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো। কারণ ঘন ঘন দাঙ্গা কবলিত ভারতে প্রতিনিয়ত বহু সংখ্যালঘু মুসলিমকে হত্যা, নির্যাতন ও মসজিদ সহ ঐতিহাসিক স্থাপনা সমূহে হামলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিরোধী সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আরো সোচ্চার থাকার জন্য আমরা জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি। ঈমান ও দেশপ্রেমবোধ জাগ্রত করে আমাদেরকে স্বাবলম্বীতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সাহসিকতার সাথে সার্বভৌমত্ব বিরোধী যে কোন হুমকী মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সকল ষড়যন্ত্র ও উস্কানী ধৈর্য্যের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। উগ্রবাদীদের কোন পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। দেশের গর্ব সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ অব্যাহত রাখা এবং সকল সক্ষম নাগরিককে ১ বছরের সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
পযুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা: রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, আলহাজ্ব আমিনুর রহমান ফিরোজ, আলহাজ্ব নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, হাফেজ নুরুল হক, আবুল হোসেন প্রমুখ।