নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা। পরে সমাধি কমপ্লেক্সে সুরা ফাতেহা ও মোনাজাত করা হয়।
এর আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সে পৌঁছান। হেলিপ্যাড থেকে নেমে সমাধি কমপ্লেক্সে যান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দেয়।
এর আগে একইদিন সকালে ঢাকায় ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বেলা ৩টায় ঢাকায় গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিবসের ওপর স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করবেন। বিকেল পৌনে ৪টায় ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। কমপ্লেক্সের প্রবেশ ফটকের সামনে ফুলবাগানগুলো নতুন নতুন বাহারি ফুল ও গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এছাড়া সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জেলাব্যাপী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বারগুলোতে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়াসহ বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে এরইমধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পথে পথে টানানো হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন।