নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিভোর্সি স্বামীর ফ্ল্যাটে বাইক চালক প্রতারক মোস্তফা ও সিত্তুল মুনা দম্পতির মাদক ও দেহ ব্যবসা তুঙ্গে। প্রতারক মোস্তফা ১০-১৫ টি বিয়ে করে প্রতারণায় লিপ্ত হয়ে মুনা মোস্তফা প্রতারণার জুটি বেধে মাদক ও দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নিজ ফ্ল্যাটে । মোস্তফার প্রথম স্ত্রী রুনা বেগম দুই সন্তানের জননী আপত্তি দিয়েও বন্ধ করতে পারছে না তার অপকর্ম। নিকট আত্মীয়রা যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেও তার অপরাধ জগতে সক্রিয়। সিত্তুল মুনার বৈধ স্বামী থাকলেও তাকে বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাত দিয়ে বের করে দিয়ে প্রতারক মোস্তফা কে নিয়ে প্রকাশ্যে দেহ ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় আটক হলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আবার জড়িয়ে পড়ছে অনৈতিক কাজে। তারা এতই নির্লজ্যতার প্রমাণ রেখেছেন যা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ সহ্য করতে পারে না। মোস্তফা ও সিতুল মুনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম সারির একাধিক গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশ করলে সঠিক কোন প্রতিবাদ জানাতে পারেনি এ দম্পতি।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
জানা গেছে মিরপুর স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা কামাল, সাকিব, মাসুম ,খোরশেদ, মিন্টু ,জাবেদ গংরা, কাফরুন থানায় তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে একখানা অভিযোগ দাখিল করেছেন। ওই অভিযোগে উল্লেখ করেছেন মোস্তফা ও সিত্তুল মুনা অপরাধ জগতের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবত রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে বনশ্রী, আগারগাঁও , বাবর রোড, মিরপুর চিড়িয়াখানা ,এসপি রোড বর্তমানে ফ্লাট -২ ই আমিনার্সপাল ৬২ ৬৩ বড় বাগ মিরপুর -২ বসবাসকারী ও স্বামী মোস্তফা তপন সরদার অবৈধ ও সামাজিক মাদক ব্যবসা , ও দেহব্যবসা, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, অপহরণমূলক কাজে লিপ্ত। তাদের অনৈতিক কাজে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
মুনা ও মোস্তফা লাইফ লাইন ফিজিওথেরাপীর আড়ালে নারী-পুরুষের ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপন আদায় , নারী পাচার , চাকরির প্রলোভন ,বিদেশে লোক পাঠানো সহ নানা রকম প্রতারণা করে আসছে। এ চক্রের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন অনুপ দাস, সাইদুল ,হাফিজুর, খলিল সহ সঙ্ঘবদ্ধ একটি চক্রের কিছু নারী সদস্যের মধ্যে ফেরদৌসী ,লিমা ,ও মেরি জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেইন অভিযুক্ত মোস্তফা ও মুনাসহ এ সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক, প্রতারণা, চাঁদাবাজি ,অপহরণ ,ও সাইবার ট্রাইব্যূনালে বিভিন্ন আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
এ প্রতারকের কবল থেকে সাধারণ মানুষ বাঁচতে গ্রেপ্তারের দাবিতে কাফরুল থানায় এ অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগের পরেও বর্তমানে তাদের অবৈধ কাজ নিজ ফ্ল্যাটে ৬২ /৬৩ মিরপুর বড়বাগ তাদের অপকর্মে চালাচ্ছে মহান তবীয়তে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে তাদের অনৈতিক ব্যবসা। এসব বিষয় জানতে চাইলে সিত্তুল মুনা প্রতিবেদক কে বলেন , ভাই এভাবে আপনারা আমার বিরুদ্ধে নিউজ করবেন না আমার মান সম্মান শেষ। আপনি আপনার স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে মোস্তফা কে নিয়ে বসবাস করছেন কেন। এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ফরিদুল আলম মিথ্যা কাবিননামা তৈরি করে আমাকে স্ত্রী দাবি করছেন। তিনি আরো বলেন , মোস্তফার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই সে তার ছেলের বন্ধু। ফরিদুল আলম দাম্পত্য সত্য পূন:প্রতিষ্ঠার জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করেছেন সেখানে জবাব দিয়ে জাল কাবিননামা প্রমাণ করেন না কেন । এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি সিত্তুল মুনা। বিস্তারিত আসতেছে পরবর্তী সংখ্যায়।