ডেস্ক রিপোর্ট : করোনাভাইরাস গোত্র থেকে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর গতি আরও বাড়ছে বলে হুঁশিয়ার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্বের প্রায় দুইশ দেশে এরইমধ্যে প্রাণ সংহারক এই সংক্রামক ব্যাধিতে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
তবে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে করোনার বাড়ন্ত গতিপথ পাল্টে দেয়া সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস।
তিনি বলেছেন, দেশগুলোকে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কৌশলের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, গেল বছরের শেষ দিনে চীনের উহানে আক্রান্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি থেকে শুরু করে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। আর পরের ১১ দিনে এই সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় দুই লাখে। তার পরের মাত্র চারদিনে আক্রান্ত হয়েছে আরও এক লাখ। আর এখন বিশ্বে ৩ লাখ ৮১ হাজার মানুষ প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত।
টেড্রোস অ্যাধনম বলেন, মানুষকে এখন ঘরের ভেতরে থাকতে বলা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পদক্ষেপগুলি আরও দ্রুত নিতে হবে। তাহলেই ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কমানো যেতে পারে।
এই জন্য দেশগুলোকে ‘সুনির্দিষ্ট’ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, জয়ী হতে হলে আমাদের আগ্রাসী আর সুনির্দিষ্ট কৌশল গ্রহণ করতে হবে।
আক্রান্ত হিসেবে সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরীক্ষা করতে হবে, শনাক্ত হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে’-যোগ করেন টেড্রোস।
বিভিন্ন দেশে ব্যাপকহারে চিকিৎসা কর্মীদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপদে থাকলেই তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন। আমরা তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করতে না পারলে অনেক মানুষ মারা যাবে।
এই জন্য দেশগুলিকে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদিকে (পিপিই) অগ্রাধিকার দেওয়া এবং এর গুরুত্ব নিশ্চিত করতে তাগিদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।