নিজস্ব প্রতিনিধি (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা সীমান্তের নাফ নদীর আলীখাল এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে বিজিবি।

আজ মঙ্গলবার ১৮ মার্চ, সকালে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ লেদা সীমান্তের নাফ নদীর আলীখাল এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।

এ প্রেক্ষিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের পরিকল্পনায় বিজিবির একটি চৌকস নৌ আভিযানিকদল লেদা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার বিআরএম-১১ থেকে আনুমানিক ৩০০ মিটার পূর্বে আলীখাল নামক এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় বিজিবির আভিযানিকদলের সদস্যরা নাফ নদীতে এবং তীরবর্তী এলাকায় কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক সকাল ৬ টা ২০ মিনিটের সময় বিজিবি সদস্যরা দুইজন ব্যক্তিকে নাফ নদীর বিপরীত তীর থেকে সাঁতরে সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে এ পাশের তীরে আসার চেষ্টাকালে বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে এবং ধাওয়া করে।
এ সময় উক্ত ব্যক্তিরা তাদের বহনকৃত দুইটি বস্তা নাফ নদীতে ফেলে রেখে দ্রুত সাঁতরে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বিজিবি সদস্যরা নাফ নদীতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের ফেলে যাওয়া বিশেষভাবে মোড়কজাত দুইটি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে মোট ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সমর্থ হয়।
বর্ণিত মাদকদ্রব্য পাচারের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ এবং অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, বিজিবি দেশের সীমান্তে নিরাপত্তা, মাদক ও মানব পাচার রোধ এবং চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে।
বিজিবি মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন প্রতিনিয়ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে এবং নিয়মিতভাবে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল জব্দ এবং বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে।