নিজস্ব প্রতিবেদক : রবি আজিয়াটা পিএলসি (রবি)-এর ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আজ সোমবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে রবি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান থায়াপারান সাঙ্গারাপিল্লাই, পর্ষদ সদস্য বিবেক সুদ, নিক রিজাল কামিল, নাসির উদ্দিন আহমেদ, রবি’র ভারপ্রাপ্ত সিইও এম. রিয়াজ রশিদ, কোম্পানি সচিব ও চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

রবি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান থায়াপারান সাঙ্গারাপিল্লাই বলেন, “সার্বিক কারণে ২০২৪ সালটি ছিল আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটি বছর। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে রবি আর্থিক ক্ষেত্রে যে সাফল্য দেখিয়েছে তাতে আমি আনন্দিত।

সময়োপযোগী ব্যয় ব্যবস্থাপনার কল্যাণে আমরা সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করতে পেরেছি। বছরজুড়ে নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ করেছি আমরা, যা আমাদের প্রতি গ্রাহকের আস্থাকে আরো দৃঢ় করেছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের বিশ্বমানের ও মানসম্মত প্রযুক্তি সেবা দিতে প্রস্তুত রবি। একটি টেককো হিসেবে রবি বরাবরের মতো গ্রাহক ও সমাজের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। কর্পোরেট সুশাসনের প্রতি আমরা আপোসহীন। এই সুশাসনকে পুঁজি করে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত রবি।”
২০২৪ সালে রবি’র শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১.৫০ টাকা। এ সময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
রবি সম্পর্কে : রবি আজিয়াটা পিএলসি (‘রবি’) একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি যেখানে এশিয়ার টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের সিংহভাগ মালিকানা (৬১.৮২%) রয়েছে। এছাড়া রবিতে পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের (১০%) পাশাপাশি বিশ্ব টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি ভারতী এয়ারটেলের (ভারত) শেয়ার রয়েছে ২৮.১৮%। রবি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর। দেশের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিজিটাল সেবা আনছে কোম্পানিটি।
দেশের প্রতিটি প্রান্তে উদ্ভাবনী সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশে রবি অব্যাহত বিনিয়োগের মাধ্যমে শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। দেশজুড়ে থাকা এ অবকাঠামো ডিজিটাল পণ্য ও সেবা সরবরাহের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল প্রতিবেশ গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই হোক রবির হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হাটছে দেশবাসী।