মুক্তিযোদ্ধার লাশও নিচ্ছে না স্বজনরা
বিশেষ প্রতিবেদক : নতুন করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ বর্তমানে সারা বিশ্বে একটি আতঙ্কের নাম। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম পৃথিবীর অসংখ্য দেশের মানুষের মধ্যে মৃত্যুভয় জাগিয়ে তুলেছে কোভিড-১৯ রোগ। প্রতিদিন চারদিকে ঘটে যাওয়া মর্মন্তুদ ঘটনাগুলো যেন চোখভেজা কাহিনী হয়ে গেঁথে যাচ্ছে হৃদয়ে হৃদয়ে। প্রাণঘাতী করোনার প্রভাবে মানুষের সহজাত করুণাও উঠে যাচ্ছে। অর্থ্যাৎ করুনা যেনো বিলুপ্তের পথে। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই, এই কথাটি আজ যেনো ভুলে যাচ্ছে মানুষ। আপনজনের জন্য যে মানুষ জীবনবাজি রেখে উপার্জন করে, সেই মানুষই এখন নিজে বাঁচার জন্য অসুস্থ প্রিয়জন বা তাদের লাশ থেকেও দৃষ্টি ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এতে করে ভেঙে পড়েছে মানুষের পারস্পরিক মমত্ববোধ আর চিরন্তন ভালোবাসার অমোঘ নিয়ম। আগত ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষায় সবকিছু থাকার পরও মানুষ এখন নিঃস্ব ও স্বার্থপর।
গত ৫ দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানের বেশ কটি ঘটনা নাড়া দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। সেবাদানকারী ডাক্তার আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। বলেছেন স্বজনদের এমন অমানবিক আচরণ কখনো দেখিনি। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও পুলিশই এখন শেষ ভরসা। লাশের পাশে থাকছে তারাই, জানাজাও পড়াতে হয় তাদেরকেই।
উল্লেখ্য, শ্বাসকষ্ট ও হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক মুক্তিযোদ্ধা। পরে শহরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত আইসোলেশন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। গত রোববার রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ২টা ১০ মিনিটে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৫ বছর বয়সি এক মুক্তিযোদ্ধা। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে করোনা ভাইরাসের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়। আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তির আধা ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান।
অপরদিকে, ঝালকাঠির রাজাপুরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আব্দুল হাকিম নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাউথপুর গ্রামের নাপিতবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তার মৃত্যুর পর আতঙ্কে ওই এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে। স্বজনরা জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তি গত ১০ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একটি ক্লিনিকে এবং বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করেছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় তিনি বাইরে ঘোরাফেরাও করতেন। তার মৃত্যুর পর নানা গুঞ্জনে বাড়ির আশপাশের এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম বলেছেন, মানুষ নিজের জীবনের চেয়ে এখন আর কিছুই ভালোবাসে না। আগে নিজের জীবনের চেয়েও মূল্যায়ন করত মানবতা, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। তার মতে এই ক্ষয় একদিনের নয় দীর্ঘ সময়ের। ঘটনা প্রবাহ এবং প্রকৃতিই এর নেপথ্যে বলে মনে করেন এই বিজ্ঞানী।
পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন থেকে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত মনোয়ারা বেগম (৪২) নামে এক নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভয়ে কেউ ওই নারীর কাছে যাচ্ছিলেন না। খবর পেয়ে সোমবার গভীর রাতে সদর থানা পুলিশের দুটি টিম তাকে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার সকালে মনোয়ারা বেগমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সোমবার ভোর চারটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন (করোনা) ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ১২ বছরের এক মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়। গত রোববার বিকেল ৫টার দিকে যশোর সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের ঠিকানা দিয়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়েটির জ্বর, সর্দি, কাশি থাকায় তাকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, মেয়েটিকে যে লোকটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তিনি তার নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর না দিয়ে পালিয়ে গেছেন। তবে মেয়েটির স্বজনদের খোঁজ করে লাশ হস্তান্তর করা হবে, আর না পাওয়া গেলে সরকারিভাবে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।
এর আগের দিন ২৯ মার্চের ঘটনা আরো মর্মান্তিক। হাসপাতালে ৭০ বছরের বৃদ্ধকে ফেলে পালিয়েছেন স্বজনরা। কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটে এই ঘটনা। ওই কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বিপ্লব সাহা পরিচয়ে এক ব্যক্তি পাঁচ দিন আগে মুমূর্ষু অবস্থায় বৃদ্ধকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ অবস্থায় মুমূর্ষু ওই রোগীকে ২৫০ শয্যার কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা বললেও তিনি রাজি না হয়ে রেজিষ্টারে অঙ্গীকারপত্র দেন, রোগী মারা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
তিনি রেজিষ্টারে ইংরেজিতে তার নামও বিপ্লব সাহা লিখেছেন এবং তার মোবাইল নম্বর লিখতে বললে তা না লিখেই সুযোগ বুঝে বৃদ্ধকে ফেলে পালিয়ে যান। সঙ্গে আসা লোকটি যে রোগীর নিকটাত্মীয় ছিলেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ নাম-ঠিকানা অনুযায়ী চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মৃত পরশ চন্দ্র সাহার ছেলে প্রদীপ সাহা। বয়স দেওয়া হয় ৫৮ বছর। কিন্তু প্রকৃত অর্থে তার বয়স ৭০ বছরের বেশি হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি থানা-পুলিশকে জানায়। এরপর রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ নাম-ঠিকানার সূত্র ধরে স্বজনদের খুঁজে বের করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে এই ঠিকানার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, ভুল ঠিকানা দিয়ে স্বজনরা পালিয়েছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক স্কুল শিক্ষিকা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই নারীর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া রিপা দাস (৩২) রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার রামকল গ্রামের মিঠুন সরকারের স্ত্রী। তিনি রামকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। ফরিদপুরের টেপাখোলা এলাকার অনিল কুমার দাসের মেয়ে রিপা। চার বছরের বিবাহিত জীবনে প্রথম সন্তানসম্ভবা ছিলেন তিনি। সকাল ৭টার দিকে সেখান থেকে তাকে বের করে বেডে দেয়া হয়। এ সময় রিপার প্রচ- শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের নার্স ও ইন্টার্নদের কাছে অনুরোধ করেও অক্সিজেন দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারেননি। প্রায় এক ঘণ্টা পর অক্সিজেন সিলিন্ডার আনা হয়। তার আগেই মারা যান রিপা। দুপুরে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রামকল গ্রামে।
পুরান ঢাকার বেচারাম দেওড়ি এলাকার রজনী বোস লেনের একটি ভবন লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। ভবনটির গেটে লাল কাপড় দিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়া নিষিদ্ধ করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ভবনের ভেতরে একটি পরিবারে মা ও মেয়ের ১০ দিন ধরে সর্দি-কাশিসহ করোনাভাইরাসের নানা উপসর্গ পাওয়া গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ফোন দিলে তারা পরিবারটিকে কোয়ারেন্টাইন করার নির্দেশ দেয়। আইইডিসিআর থেকে টেস্টের জন্য লোক আসবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, একটি ভবনের ৩৬ বছর বয়সী মা ও ১৫ বছর বয়সী মেয়ে কয়েক দিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা করোনা সন্দেহে পুলিশকে জানান। আমরা আইইডিসিআরে যোগাযোগ করলে তারা বাড়িটিতে প্রবেশাধিকার ও কারো বের হওয়া নিষিদ্ধ করতে বলেন। তাদের দুজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে এলাকাবাসী এ পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
২৬ মার্চের ঘটনা রাজধানীর মালিবাগের। মালিবাগের ৩৮-বি চৌধুরী পাড়ার বাসার দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে পড়ে আছে যুবকের লাশ। কিন্তু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে কেউই লাশের কাছে যাচ্ছে না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম রাজু (৩৫)। তিনি ওই বাসায় ব্যাচেলর রুমে থাকতেন। ওই ব্যক্তি ব্যবসা করতেন। ব্যাচেলর রুমে তিনি ছাড়াও তার এক রুমমেট ছিল। সে গ্রামে চলে গেছে। এরপর রুমে রাজু একাই ছিলেন। ওই দিন দরজা না খোলায় বিকেলে দরজা ভেঙে তার লাশ দেখা যায়।
মৃতের ভাগনে ইমন বলেন, মামা এখানে ব্যাচেলর থাকত। মারা যাওয়ার আগের রাতে বাসায় এসে মামিকে ফোন করে বলেছে, পেটে ব্যথা, বমি আসতেছে। পরে মামি বলল ঘুমানোর জন্য। সকাল থেকেই মামার মোবাইল নম্বরে কল দেওয়ার পর কল রিসিভ না করার আমরা বাসায় এসে দরজা ভেঙে লাশ দেখতে পাই। স্থানীয়রা বলছেন, করোনায় মৃত্যু। কিন্তু প্রাথমিকভাবে স্বাভাবিক মৃত্যুই মনে হচ্ছে।
একই দিনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক যুবক (৪৫)। তার বাড়ি খুলনা নগরীর হেলাতলা এলাকায়। তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ। হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ওই রোগী মারা যাবার পর তার স্বজনরা লাশটি রেখে পালিয়ে যান।
বাংলাদেশের গ্রাম ও শহর সব জায়গার মানুষের ভেতর একধরনের চাপা আতঙ্ক কাজ করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান ও জনগণ যখন করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য একযোগে কাজ করছে, তখন বাংলাদেশে করোনাভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্যসমৃদ্ধ গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটি সামাজিকভাবে ভয়ংকর। বর্তমানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের চেয়ে গুজব প্রতিরোধ করা মুখ্য কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, কোভিড-১৯ যেহেতু সংক্রামক, সেহেতু গুজবের কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তাতে মানুষ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে গুজব কী, কীভাবে ছড়ায়, কেন ছড়ায় এবং গুজব ও আতঙ্ক কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী এবং দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম মেট্রোপলিটন শহর চেন্নাইয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন বাংলাদেশিরা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। ফলে চিকিৎসা নিতে পারছেন না তারা। ক্যান্সার রোগীদের কেমো দেয়াও বন্ধ রয়েছে। মরণাপন্ন এসব রোগী শেষবারের মতো দেশে আসতে চাচ্ছেন। এদের কারও কারও চিকিৎসা শেষ হয়েছে। অনেকের আবার সেখানে থাকার আর্থিক সক্ষমতা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে অঘোষিত লকডাউনের কারণে দেশে আসতে পারছেন না তারা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য কামনা করেছেন তারা।
এ বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক শাহীন বাবু এ প্রতিবেদককে বলেন, করোনা মানুষের মমত্ববোধ ও মানবতা কেড়ে নিয়েছে। যদিও লকডাউন ব্যবস্থা পরিবারের লোকদের এক করে দিয়েছে তারপরও মানুষ নিজেদের স্বার্থটাকেই বড় করে দেখছে যা মানব জাতীর জন্য অত্যান্ত ভয়াবহ।
সারা দেশে গত কিছুদিনে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে যারা মারা গেছেন তাদের কেউ করোনোভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানিযেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তার ভাষ্যমতে, এ ধরণের উপসর্গ নিয়ে যারা মারা গেছেন তাদের সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় তারা দেখতে পেয়েছেন, মৃতদের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না।