বিশেষ প্রতিবেদক : ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য দিক হলো যারা ইতিহাস তৈরিতে জীবন উৎস্বর্গ করেন তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়না। তাদের কষ্টার্জিত ফল ভোগ করে এক শ্রেণির সুবিধাভোগী টাউট বাটপাররা। অর্থাৎ হাইজ্যাক হয়ে যায় তাদের জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ফসল।

আজকের এই দিনে শিকাগো শহরে শ্রমিকদের নূন্যতম কর্মঘন্টা, পেনসন ভাতা, মৃত্যু ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসা ভাতা এসব আদায়ে যে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসেছিল। যারা রক্ত ঢেলেছিল, আত্মাহুতি দিয়েছিল তাদের ভাগ্য আজো পরিবর্তন হয়নি।

দূর্ভাগ্য সেদিন এইসব অসহায়, দিনমজুর, মজদুর, শ্রমিকদের উপর যারা সরকার আশ্রিত কর্মচারী, কর্মকর্তারা পুলিশের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে মিছিলে আক্রমণ করেছিল। বাসা বাড়ি থেকে প্রতিবাদী শ্রমিকদের ধরে এনে নির্যাতন করেছিল। লাশ গুম করেছিল। তারাই কালক্রমে সরকারি তকমা ধারণ করে সাধারণ শ্রমিকদের রক্তে অর্জিত সকল সুযোগ সুবিধার ফল আজ তারা ভোগ করছে।

আর সেদিনের সেই অভুক্ত, গুলি খাওয়া, প্রাণ দেয়া শ্রমিকদের উত্তরসূরীরা আজো রাজপথে মিছিল করছে। নির্যাতন সইছে। জেলে যাচ্ছে। দণ্ড দিচ্ছে।
নিয়তির কি নিষ্ঠুর পরিহাস। যারা লড়ে, রক্ত দেয়, মরে তারাই বঞ্চিত হয় আর দালালরাই তার সুবিধা ভোগ করে।
ইতিহাসের পিছনের এই ইতিহাস সরকারি ভোগবাদীদের প্রচার ও পদলেহনে এমনভাবে চাপা পড়েছে। বলতে গেলে আমরা এখন কেউই এসব সত্যের খোঁজ আর রাখিনা। জয় হোক দুনিয়ার মেহনতী শ্রমিক, মজদুরের।