
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক একটি আস্থাশীল প্রতিষ্ঠান।এখানে কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতির কারণে সাম্প্রতিক নাভিশ্বাস উঠেছে জনমনে।এ তালিকায় নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলাম অন্যতম।

একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেও নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলাম বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গড়িমসি করছেন রাজউক। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম , ঘুষ , দুর্নীতির অভিযোগ চাউর হলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।একের পর এক নানা বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন এ অসাধু কর্মকর্তা। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) একটি আস্থাশীল প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি লাভ করলেও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন একটি অংশ।প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে বার বার আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। রাজউকের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং উন্নয়ন প্রকল্পসমূহে অনিয়ম-দুর্নীতি এখন বেড়ে চলছে ।

সংস্থাটির সেবার মান নিয়ে যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না । আর এসব দুর্নীতির ক্ষেত্রে রাজউক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন সেবা গ্রহীতারা। ফলে রাজউক কর্তৃক সার্বিক জবাবদিহি কাঠামো কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন ব্যহত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)এর নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিজাইন-২) মো: হাফিজুল ইসলামের নাম উঠে এসেছে।

গণমাধ্যম কর্মীদের অনুসন্ধান কি বলছে ? রাজউকের চাকরিতে যোগদানের পর থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানে বিশাল ধন সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি।রাজউকে চাকরি করে কখনও পেছনে তাকাতে হয়নি। সরকারের একজন দাপুটে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছে। তাঁর আচরণ ছিল একজন রাজনৈতিক নেতার মতন। সেবা গ্রহীতা, গণমাধ্যম কর্মীদের কাউকে তোয়াক্কা না করে সবার সাথে একরোখা আচরণ করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।

হাফিজুলের অবৈধ সম্পদের পাহাড় : উত্তরা রাজউক মার্কেটের পেছনে ৬ কাঠা জমির উপর ৬ তলা বাড়ির ৫ তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। আশুলিয়ায় একটি বাণিজ্যিক প্লট, যেখানে মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। উত্তরা দিয়াবাড়ীতে “মুন ভিলা” নামে ৩.৫ কাঠার একটি প্লট রয়েছে , যেখানে বাগানবাড়ি নির্মাণ করে রেখেছেন।সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ ধানগড়া এপেক্স হাসপাতালের পেছনে রয়েছে ২৭ কাঠার একটি বাগানবাড়ী। উচ্চ মূল্যের ব্যক্তিগত একটি প্রাইভেটকার রয়েছে(মেরুন রঙের প্রিমিও) এছাড়াও, রাজউক কর্মকর্তা প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলামের নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পত্তি ও ব্যাংক এফডিয়ার অন্যান্য সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তথ্য সরবরাহ করতে গণমাধ্যমের একটি চৌকস টিম মাঠে সক্রিয় আছেন। অচিরেই তাঁর মুখোশ উন্মোচন করে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সন্ত্রাসীসূলভ আচরণ ; গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য প্রদানে গড়িমসির অভিযোগ চাউর হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য একটি নির্দেশ মূলক বিধান।এর মাধ্যমে জনগণের সেবাকে তাদের প্রধান কর্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুতরাং ২১(২) অনুচ্ছেদ টি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য জনগণের সেবা করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। একজন নির্বাহী প্রকৌশলী প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা।
সরকারের এ গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসছে। সংবাদ প্রকাশ করার স্বার্থে উক্ত বিষয় রাজউক এর নির্বাহী প্রকৌশলী(ডিজাইন-২) মো: হাফিজুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ঘটে বিপত্তি। গণমাধ্যম কর্মীদর সঙ্গে আলাপকালে হুমকির ভাষায় ও কথা বলছেন।
এ বিষয় একাধিক গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ রয়েছে প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। এছাড়াও হাফিজুল ইসলাম হুমকির ভাষায় বলেন,সম্পদ আছে এটা আমার ব্যক্তিগত সম্পদ। আপনাদেরকে বলবো কেন? প্রয়োজন মনে করলে দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এসব বিষয় জানতে চাওয়া হলে ফোন কল গ্রহণ করেননি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠালেও কোন জবাব পাওয়া যায় নি বিধায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না ।