কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে জেলের ছদ্মবেশে মাদক পাচারের সময় ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মোঃ জুবায়ের ও নূরুল আমিন নামের ০২ মায়ানমার নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।

গত ১৮ জুন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী নাফ নদী দিয়ে কতিপয় মায়ানমার নাগরিক মাছ ধরার ছদ্মবেশে ইয়াবার একটি চালান জেলের ছদ্মবেশে থাকা কতিপয় বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছে হস্তান্তরের করবে।

এ প্রেক্ষিতে, পরিস্থিতির বিবেচনায় টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে নাফ নদী ও তীরবর্তী বেশকিছু কৌশলগত স্থানে দ্রুত বিশেষ টহল মোতায়েন করেন।

আনুমানিক ১০ টার সময় নদীতে একটি নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবি’র নৌ টহলদলগুলো তড়িৎ গতিতে তাদের পিছু ধাওয়া করে।

বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলেও নাফ নদীর জল সীমান্তের শূন্যরেখার আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে বিজিবি আভিযানিকদল মায়ানমারের দুইজন নাগরিকসহ পলায়নরত নৌকাটি আটক করে। পরবর্তীতে বিজিবি আভিযানিকদল নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাটাতনের নিচে জালের ভেতর বিশেষ কায়দায় লুকানো এবং মোড়কজাত অবস্থায় ১,২০,০০০ পিস ইয়াবা জব্দ করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা যথাক্রমে, মায়ানমারের মংডু জেলার ডেইলপাড়া গ্রামের মোঃ ইলিয়াসের ছেলে মোঃ জুবায়ের (২০) এবং মৃত ইসলামের নুরুল আমিন (২২)।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, তারা ইয়াবার চালানটি মায়ানমার থেকে এনে নদীতে মাছ ধরার অজুহাতে অপেক্ষমাণ বাংলাদেশি সহযোগীদের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা করেছিল। আটককৃত মায়ানমার নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এর সাথে জড়িত বাংলাদেশীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, বিজিবি সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার বন্ধসহ আন্তঃসীমান্ত সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে বিজিবি সীমান্তে টহল জোরদারের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। বিজিবির এ ধরনের তৎপরতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।