নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী হাজারীবাগ এলাকায় পুলিশ সোর্স আলাল ও ইমনের চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতবছরের জুলাই অভ্যুত্থানের পর গা ঢাকা দিলেও বর্তমানে আবার ও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আলালের সহযোগী ইমন নামের এক সহযোগীর নাম জানা গেছে । ইমন মাঝেমধ্যে সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে থাকে। আলাল পুলিশ সোর্সের আড়ালে রয়েছে রমরমা মাদক ব্যবসা। আলাল নিজের হেফাজতে রেখে ইয়াবা সেবন ও বিক্রি করে। কেউ মাদক বিক্রিতে বাধা দিলে পুলিশের নাম ব্যবহার করে মানুষকে ভয়ভীতিসহ হুমকি দিতে থাকে। আবার রাস্তায় সিএনজি আটকিয়ে কাগজপত্র দেখার নামে চাঁদাবাজি করে ।

একেকটি সিএনজি থেকে এক হাজার দুই হাজার অনূর্ধ্ব ৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে সোর্সরা। তবে কোন চালক টাকা দিতে অস্বীকার করলে ভুয়া সাংবাদিক প্রথমে ছবি তুলে পরে পরিচিত পুলিশকে ফোন দিয়ে গাড়ি থানায় নিয়ে মামলা দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে কৌশলে চাঁদা আদায় করে।
জানা গেছে আলাল শাহবাগ থানায় পুলিশের সাথে সোর্সের কাজ করতো। গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানের পর কিছুদিন পালিয়ে থাকলেও পুনরায় সোর্সের কাজে সক্রিয় হয়ে চাঁদাবাজি শুরু করে।

বর্তমানে শাহাবাগ এবং হাজারীবাগ থানায় কাজ করে বলে জানা গেছে। আলাল নিয়মিত রাস্তায় বের হয়ে প্রথমে সিএনজি ভাড়ার কথা বলে থামায় ,পড়ে ভাড়া চুক্তি করে চালককে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যায়। ওখানে আগে থেকে আলালের অন্য সহযোগী অপেক্ষায় থাকে।সোর্স আলাল গাড়ি থেকে নামলে চালককে অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা নানা ধরনের প্রশ্ন করে। ভাড়া না দিয়ে কাগজপত্র দেখতে চায়। পরে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে চালককে ভাড়া না দিয়ে অজুহাত খুঁজতে থাকে।

একপর্যায়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায়। গাড়ির কাগজ ভুয়া বলে চালককে ভয় -ভীতি দেখাতে থাকে এবং পুলিশকে ফোন দিয়ে আটক করবে এরকম ভাবভঙ্গি দেখাতে থাকে। চালক নিরুপায় হয়ে গাড়ির মালিক কে ফোন দেয় শুরু হয় দর কষাকষি। চালক নিরুপায় হয়ে টার্গেট মতো চাদা দিলে মুক্তি মেলে। তাদের টার্গেট পুরণ না হলে চালকের চাবি নিয়ে সোর্স নিজ হেফাজতে গাড়ি রেখে সুযোগ মত বিক্রি করার অভিযোগ আছে। কোথায় কখন কার নিকট বিক্রি করেছে প্রমাণসহ আসছে পরবর্তী সংখ্যায়।

একাধিক ভুক্তভোগী সাংবাদিককে বলেন , পুলিশ সোর্স আলালের সাথে একজন সাংবাদিক থাকে নাম ইমন ,তার মোটরবাইকে প্রেস লেখা স্টিকার লাগানো থাকে। সিএনজি আটকে চালককে ভয় -ভীতি দেখিয়ে গাড়ির মালিক কে টাকা দিতে বলে অন্যথায় গাড়ি ডাম্পিং করিয়ে দিবে। এ সোর্স আলালের দাপটে সাধারণ সিএনজি চালকসহ নিরীহ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন , আমি প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার সিএনজি আটকে চাঁদা দাবি করছে। আমি সরকারি চাকরি করি আমাকে ও হুমকি দেয় এটা অত্যান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
এসব বিষয়ে জানতে সাংবাদিক পরিচয় দানকারী ইমনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি সোর্স আলালের শাস্তি প্রদান করার এখনই উপযুক্ত সময় অন্যথায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।