নারায়নগঞ্জের কাঁচপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান : সরকারি ওষুধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রির দায়ে সোনাপুর মেডিসিন সেন্টারকে জরিমানা

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মো :অপু (নারায়ণগঞ্জ)  :  নারায়নগঞ্জে সরকারি ওষুধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রির দায়ে সোনাপুর মেডিসিন সেন্টারকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের  একটি অভিযান পরিচালিত হয়,  এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে,  জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি এবং বিনামূল্যে প্রাপ্য সরকারি ওষুধ অবৈধভাবে বিক্রির দায়ে মেসার্স সোনাপুর মেডিসিন সার্ভিস সেন্টার নামক একটি ফার্মেসিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠানটি মেয়াদোত্তীর্ণ হেপাটাইটিস-বি ইনজেকশন ও সরকারি হাসপাতাল থেকে আসা বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ মজুত করে রেখেছিল।


বিজ্ঞাপন

সোমবার (৬ অক্টোবর) কাঁচপুরে সোনালী মার্কেট এলাকায় পরিচালিত তদারকিমূলক অভিযানে এই গুরুতর অনিয়ম ধরা পড়ে।


বিজ্ঞাপন

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে ফার্মেসিটির ফ্রিজে সংরক্ষণ অবস্থায় পাওয়া যায় ২০২৩ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ Hepatitis B-এর গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ “Hepabig ইনজেকশন”। এছাড়াও উদ্ধার করা হয় মেয়াদোত্তীর্ণ প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিপ, যা ভুল ফলাফল দিয়ে রোগীর জীবন বিপন্ন করতে পারত।

তবে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারি ওষুধ মজুত রাখা। দরিদ্র ও সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য বরাদ্দকৃত সেফ্রাডিন ৫০০ মি গ্রা, সেফুরক্সিম ৫০০ মি গ্রা, অস্টোক্যাল ডি, ফ্লুক্লক্সাসিলিন ৫০০ মি গ্রা, সেফিক্সিম ও সলবিয়ন-এর মতো ওষুধ ফার্মেসিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তারা জানান, “সরকারি ওষুধ বিক্রয় আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।” এই ওষুধগুলো ফার্মেসিতে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করার ফলে প্রকৃতপক্ষে গরিব রোগীরা তাদের প্রাপ্য বিনামূল্যে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। এর পাশাপাশি, বিক্রির জন্য নয় এমন ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধও দোকানে পাওয়া যায়।

এসকল অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী মেসার্স সোনাপুর মেডিসিন সার্ভিস সেন্টারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং নগদ ১,৫০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করে আদায় করা হয়।

ফার্মেসি কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে এমন অপরাধ সংঘটিত হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জনস্বার্থে এমন অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তর। অভিযানে জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম সহযোগিতা করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *