আজকের দেশ রিপোর্ট : পরিচালক অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড সম্প্রতি মুক্তি প্রতিক্ষীত রোহিঙ্গা ছবির একটি প্রস্তাবিত পোস্টার ডিজাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। তাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিভূ ‘আসিয়া’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরশি হোসেন। তাকে প্রধান করেই পোস্টার ডিজাইনটি করা হয়েছে। পোস্টার ডিজাইনটি প্রকাশিত হওয়ার পর চলচ্চিত্রশিল্প সংশ্লিষ্টরা একটু নড়েচড়েই উঠেন বলে বলা যায়। আলোচনায় চলে আসেন আরশি হোসেন। চলচ্চিত্রশিল্পের কেউ কেউ ইতোমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, বর্তমান পারফর্মার সংকটে আরশিও হতে পারেন নির্ভরশীল একজন তারকা। রোহিঙ্গা ছবির প্রধান চরিত্র হিসেবে কেমন করেছেন আরশি জানতে চাওয়া হয়েছিল অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের কাছে। তিনি বলেন, ‘আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত একটি মেয়ে বিতাড়িত একটি জনগোষ্ঠীর প্রতিধিত্বশীল একটি চরিত্রে এতোটা ভালো করবেন সেটা আমি আশা করিনি। তাকে তার আচরণবিধি পুরোপুরি বদলে নিতে হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিশে যেতে হয়েছে। তাদের ভাষায় কথা বলেেত হয়েছে।’ এরপর অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের কাছে জানতে চাওয়া হলো তার সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে আসিয়া চরিত্রের অবস্থান কি? তিনি বলেন, ‘আসিয়া নি:সন্দেহে একটি অনন্য চরিত্র। আমার নাচোলের রাণী ছবির চরিত্রটিও অসাধারণ। দুটি ছবি দুই প্রেক্ষাপটের। তবে রোহিঙ্গা আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে গুরুত্বটাও ভিন্ন। সেক্ষেত্রে আসিয়া শুধু আমাদের নয়, আসিয়া আন্তর্জাতিকও।’ এই চরিত্রটি নিয়ে আরশি হোসেন বলেন, ‘পারফর্মার হিসেবে আমার সক্ষমতা নিয়ে কথা বলতে চাইনা। তবে রাষ্ট্রহীন একটি জনগোষ্ঠী, অন্য দেশে শরণার্থী – তাদের এই অসহায়ত্ব, আমাকে ব্যক্তিগতভাবেই মানসিকভাবে দূর্বল করে ফেলেছে। তাদের দু:খ-দুর্দশা দেখে সত্যিকার অর্থে আমি নিজেই হতভম্ব হয়ে গেছি। ফলে আমাকে আর অভিনয় করতে হয়নি। ডায়মন্ড ভাই যা বলেছেন আমি কেবল সেটাই করে গেছি।’ এর আগে আরশি হোসেন আরো দুটি ছবিতে কাজ করেছেন – সত্যিকারের মানুষ এবং বাজে ছেলে দি লোফার। সে সব ছবিতে তার চরিত্র ছিল গৎবাঁধা ফর্মূলাভিত্তিক আর দশটা বাণিজ্যিক ছবির মতই। রোহিঙ্গার চরিত্রটিই তার জন্য ব্যতিক্রম। অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড সরাসরি না বললেও ইঙ্গিতে যা বুঝাতে চেয়েছেন, সেটা হলো আসিয়া চরিত্রটিও জনগুন, নবিতুন, গোলাপী চরিত্রের পাশাপাশি একটি অনন্য চরিত্র হয়ে উঠতে পারে।