বিশেষ প্রতিবেদক : ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ও অনুমোদিত উপাদন ব্যবহারের অভিযোগে রাজধানীর পূর্ব জুরাইনের অনির্বান মেডিকেল ইন্ডাষ্ট্রিজকে সিলগালা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আাদালত। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ৯ টি গোডাউন থেকে জব্দ করা হয় নিম্নমানের ওষুধ ও কাঁচামাল। সঠিক মান নির্ণয়ের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এসব ওষুধে রোগ প্রতিরোধক থেকে ক্ষতিকর বেশি বলে জানায় ওষুধ প্রশাসন।
মেঝেতে আর বস্তায় ছড়ানো ছিটানো এগুলো আবর্জনা নয় বরং ওষুধ তৈরির কাঁচামাল। কোন কোন কাঁচামালে পোকা ধরেছে। কাঁচামাল রাখার এই ঘরটিতে আবর্জনার ভাগাড় মনে করে স্থায়ী বসবাস গেড়েছে তেলাপোকা।
এসব নিম্নমানের কাঁচামাল থেকেই তৈরি হওয়া ওষুধ বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবে বাজারজাত করে আসছে কোম্পানিটি। ল্যাবরেটরির প্রায় সব মেশিনই নষ্ট। নেই মান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় যন্ত্র।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম বলেন, এখানে যে কাঁচামাল রয়েছে সব নষ্ট। তার কোনো কোয়ালিটি নেই। তাদের ক্যাপসুল তৈরির কোনো যন্ত্র নেই।
এর আগে অনির্বাণ মেডিকেল ইন্ডাষ্ট্রিকে ওষুধ প্রশাসন থেকে কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ দেয়া হলেও উচ্চ আদালতে রিট করে পুনরায় কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা। অনুমোদনহীন অ্যালপ্যাথিক উপাদান ব্যবহারে এসব ওষুধ আরো বেশি অনিরাপদ বলে জানান ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
সাধারণ মানুষের স্বার্থে সারাবছর ব্যাপী ওষুধ তৈরির কোম্পানিগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অধ্যাপক আবম ফারুক বলেন, আপনি আমাকে বলছেন আয়ুবের্দিক ওষুধ কিন্তু দিচ্ছে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ। এখানে নাপিত ডাক্তারের মতো ওষুধ দিচ্ছে।
এছাড়া মানসম্পন্ন ওষুধ বাজার মনিটরিং জোরদার ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে আরো শক্ত ভূমিকা নিতে হবে বলেও জানান তিনি।